শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ঢল

ঈদের ছুটি শেষ। কিন্তু এর রেশ এখনো কাটেনি। ছুটির পর গতকাল প্রথম কর্মদিবস হলেও রাজধানীজুড়ে ছিল ছুটির আমেজ। কারণ পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে এদিনও বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাতে দেখা যায়।

ঈদের দিন সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন পার্ক, উদ্যান, চিড়িয়াখানা ও সিনেমা হলগুলো দর্শকদের জন্য খোলা থাকলেও বৃষ্টি ও কোরবানির কারণে মূলত বিকালের পর এসব জায়গায় মানুষের ঢল নামে। এ ছাড়া নগরীর প্রধান সড়কে যান চলাচল তুলনামূলক কম থাকায় ফাঁকা শহরে অনেকে রিকশা ও ঘোড়ার গাড়ি ভ্রমণে বের হন। কেউ কেউ ঢাকার কাছাকাছি প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হন। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল নগরীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও আইসক্রিম পারলার। ঈদের দিন থেকেই মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন। এ উপলক্ষে চিড়িয়াখানায় ছিল সাজ সাজ রব। বিকাল হতেই দর্শকদের ঢল নামে। বিভিন্ন খাঁচার সামনে ছিল উত্সুক শিশু-কিশোরের উপস্থিতি। বানরের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশিকা এ প্রতিবেদককে জানায়, সে চিড়িয়াখানায় পশু-পাখি দেখতে পেরে খুব আনন্দিত। ইশিকার বাবা রনি ইসলাম বলেন, কাজের জন্য তেমন একটা ঘুরতে যাওয়ার সময় পাই না। ঈদের ছুটিতে তাই চিড়িয়াখানায়  বেড়াতে এসেছি। এদিকে ঈদের দিন বন্ধ থাকলেও বুধবার শিশুদের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র শিশুপার্কে শিশু-কিশোরদের আনন্দ ছিল বাঁধভাঙা। শিশুদের সঙ্গে আসা তাদের অভিভাবকদের বিভিন্ন রাইডে চড়তে দেখা গেছে। প্রতিটি রাইডের সামনে ছিল দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলে ঈদের রাতেও মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ হাতিরঝিলের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে আড্ডা জমান এবং ছবি তোলেন। তবে ঈদের পরের দিন ও গতকাল বৃষ্টি কম হওয়ায় হাতিরঝিলে মানুষের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। এক দর্শক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সুমন বলেন, কয়েক বছর ধরে ঈদের সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে হাতিরঝিলে এসে আড্ডা না দিলে আমাদের হয় না। ঢাকার সিনেমা হলগুলোতেও ঈদ উপলক্ষে দর্শকদের ঢল নেমেছে। সাধারণ সিনেমা হলগুলোর পাশাপাশি আধুনিক সিনেপ্লেক্সগুলোতেও দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র দেখতে মানুষ ভিড় করছেন। বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে আসা এক দর্শক গার্মেন্ট ব্যবসায়ী রাজীব তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র ‘বসগিরি’ দেখতে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি জানান, ঈদে প্রতিবারই সিনেপ্লেক্সে এসে মুভি দেখা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ ছাড়া ছুটিতে আপনজনদের নিয়ে অনেকেই আবার ঢাকার পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন রিসোর্ট ও প্রাকৃতিক স্থানগুলোতে ভিড় জমান। ঢাকার দিয়াবাড়িতে এখন কাশফুল ফুটেছে। তাই অনেকেই প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে এবং প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সুন্দর বিকাল কাটাতে দুই দিন ধরে দিয়াবাড়িতে ঘুরতে যাচ্ছেন। এর বাইরেও নগরীর শিশুমেলা, সংসদ ভবন এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বিমানবাহিনী জাদুঘর, ধানমন্ডি লেক, ফ্যান্টাসি কিংডম, বেইলি রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং লালবাগ কেল্লাসহ অনান্য দর্শনীয় স্থানে মানুষের ঢল নামে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

নারায়ণগঞ্জ : পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে প্রাচীন বাংলার রাজধানীখ্যাত সোনারগাঁয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। প্রতিদিন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (সোনারগাঁ জাদুঘর), বাংলার তাজমহল ও পানাম সিটিতে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। এ ছাড়াও সোনারগাঁয়ের গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম, কাইক্কারটেক ব্রিজ এবং মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজার ঘাটে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। রাঙামাটি : ঈদুল আজহার পর পর্যটকদের নিয়ে রাঙামাটিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এবার ভিড় জমেছে নতুন গড়ে ওঠা পর্যটন ক্ষেত্র সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যন্ত। এখানে জড়ো হয়ে পর্যটকরা দেখছেন পাহাড়বেষ্টিত বিশাল প্রকৃতি। রাঙামাটি সরকারি পর্যটন ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, প্রতি বছর ঈদ উৎসব ঘিরে গোটা কমপ্লেক্স উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। দলে দলে আপনজন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজনও। রাঙামাটি শহরে সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের মোটেল ছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো ভালোমানের আবাসিক হোটেল। এর মধ্যে হোটেল সুফিয়া, গ্রিন ক্যাসেল, আল মোবা, নিডস হিলভিউ, প্রিন্স হোটেল এখন পর্যটকদের দখলে। হোটেল প্রিন্সের মালিক ও রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক নেছার আহম্মদ জানান, তার হোটেলে সবগুলো কক্ষ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুকিং হয়ে আছে। এখন আর কোনো রুম খালি নেই। অন্যদিকে সরকারি রেস্ট হাউসগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। বান্দরবান : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বান্দরবানে ভিড় করেছেন হাজার হাজার পর্যটক। প্রাকৃতিক ঝরনা, পাহাড়ের ওপর লেক, দিগন্ত ছোঁয়া পাহাড়, ১১ আদিবাসীর বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি-সংস্কৃতি দেখতে এই ভিড়। বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নীলাভূমি খ্যাত নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, বগালেক, মেঘলাসহ বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে দিগন্ত ছোঁয়া মনোরম দৃশ্য দেখতে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ সবাই এসেছেন। চট্টগ্রাম থেকে মেঘলায় আসা হারুন সওদাগর বলেন, ‘মেঘ আমাদের গাঁ ছুঁয়ে যাচ্ছে, হালকা হালকা ঠাণ্ডা লাগছে, এই অনুভূতিটি খুবই ভালো লাগছে।’ পটুয়াখালী : ঈদ পরবর্তী ছুটিতে কুয়াকাটা পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে আছে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার ভ্রমণপিয়াসু তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। হোটেল-মোটেল ও ডাক বাংলোগুলো পর্যটকে পরিপূর্ণ রয়েছে। তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের পর্যটকের পদচারণায় এখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লী, মিস্ত্রিপাড়া রাখাইন মন্দির, রাখাইন মহিলা মার্কেটসহ আকর্ষণীয় সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় সবচেয়ে বেশি। স্থানীয়রা জানান, বুধবার কুয়াকাটাগামী দর্শনার্থীদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। আর গতকাল দুপুর থেকে পর্যটকদের বিচরণে মুখরিত হয় সমুদ্রের দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটারের বেলাভূমি। খুলনা থেকে ঘুরতে আসা নবদম্পতি ফয়েজুর রহমান ও তার স্ত্রী সাফিয়া জামান তনু জানান, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নয়নাভিরাম। সূর্যোদয় দেখার মতো। সাগরের আছড়ে পড়া বড় বড় ঢেউ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। সপরিবারে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা ঢাকার পারভীন শিলা বলেন, আগের চেয়ে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু রাতের বেলায় সৈকতে বেড়ানোর জন্য আলোর তেমন ব্যবস্থা না থাকায় এক ধরনের ভয় কাজ করছে। জাপান থেকে আসা ওমুংশে সাচি কুয়াকাটার প্রকৃতিঘেরা মনোরম পরিবেশ দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। তার মতে, কক্সবাজার সৈকতের চেয়েও এখানের বেলাভূমি তার ভালো লেগেছে। কুয়াকাটায় থাকা-খাওয়া, ঘুরে বেড়ানো এবং স্থানীয় লোকজনের আচার-আচরণ তার খুব পছন্দ হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল ও ইয়ুথ ইন ম্যানেজার মোতাহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের দিন অল্প সংখ্যক পর্যটক ছিলেন। তবে বুধবার থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের শতভাগ রুম বুকিং রয়েছে। পরের তিন-চার দিনের জন্য কুয়াকাটার হোটেলগুলোর অধিকাংশ রুম বুকিং হয়ে আছে।’ কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, ‘পটুয়াখালী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়ক উন্নত করায় এবং তিনটি ব্রিজ হওয়ায় এখানে পর্যটকদের আগমনে এখন কোনো বাধা বা ভোগান্তি নেই।’ মৌলভীবাজার : দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনিন্দ্যসুন্দর নিসর্গের মায়াপুরীখ্যাত মৌলভীবাজারের নৈসর্গের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ। উপচে পড়া ভিড় রয়েছে প্রায় সবকটি পর্যটন স্পটেই। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, কমলগঞ্জের নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক ও হাম হাম জলপ্রপাত, ধলাই সীমান্তের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিস্তম্ভ, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান, বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, নীলকণ্ঠের সাত রঙের চা, বর্ষীজোড়া ইকোপার্ক, মনু ব্যারেজ, কুলাউড়ার দোলনচাঁপা ইকোপার্ক, গাজীপুরের গগন টিলা, পৃথ্বিমপাশার নবাববাড়ি, মুরইছড়া ইকোপার্কসহ জেলার সব উপজেলার চা বাগানগুলোতে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছ। ভিড় সামলাতে পর্যটন সহায়ক পুলিশ ও ট্যুরিস্ট গাইডের সদস্যদের রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা গেছে। মাধবকুণ্ডের ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন থেকে শুরু করে গতকাল বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে এ জলপ্রপাতে। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ‘স্পটে যাতে কোনো পর্যটন হয়রানির শিকার না হন সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কড়া নজরদারিতে রয়েছে।’ বাগেরহাট : ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানহাজান আলীর (রহ.) মাজারসহ তার স্থাপত্যসমূহ দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন হাজার হাজার পর্যটক। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন রিসোর্ট, চন্দ্রমহলেও ভিড় করছেন পর্যটকরা। বাগেরহাট জাদুঘরে কর্মরত প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের রিপন মালঙ্গি জানান, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জাদুঘরে রাখা বহু বছর আগের পুরাকীর্তির নিদর্শন দেখে অনেকেই অবাক হন। প্রায় ৬০০ বছর আগে খানজাহানের পুরাকীর্তির নিদর্শন দেখতে অসংখ্য মানুষ এখানে এসেছেন।  বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদৌস  বলেন, এ বছর পর্যটকের আগমন অনেক বেশি। এবার অনুকূল আবহাওয়ার কারণে দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছে। রংপুর : ঈদ শেষ হলেও আমেজ ফুরিয়ে যায়নি রংপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে আসা পর্যটকদের। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে, কেউবা পরিবার-পরিজন নিয়ে। আবার কেউ এসেছেন প্রিয় মানুষটির হাত ধরে। মনের আনন্দ আর উল্লাসে ঈদ উদ্যাপনে পিছিয়ে নেই ছোট শিশু আর বৃদ্ধরাও। প্রধানত পর্যটকরা রংপুর চিড়িয়াখানা, রংপুর জাদুঘর, চিকলি পার্ক, ঘাঘট পাড়ের প্রয়াস, ভিন্ন জগৎ, আনন্দনগর, সুরভি উদ্যান, ফ্যান্টাসি জোন, মহিপুরঘাট, তিস্তা সড়ক সেতু, ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাস, বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র— প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গতকালও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আবহাওয়া ভালো থাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষ নির্মল আনন্দে ঘোরাঘুরি আর আনন্দের মধ্য দিয়েই ভাগাভাগি করছেন ঈদের আনন্দ। চুয়াডাঙ্গা : ঈদ আনন্দে চুয়াডাঙ্গার পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ ভিড় করেছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মেহেরুন শিশুপার্কে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সবুজের মাঝে এ পার্কের যান্ত্রিক রাইডগুলো ঈদ আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া শহরের পুলিশ পার্ক, শিশুস্বর্গ পার্ক, ডিসি ইকোপার্কসহ বিএডিসি এলাকায় বিনোদনপ্রেমী দর্শনার্থীরা নির্মল বিনোদনের আশায় ভিড় করছেন। কুমিল্লা : কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহার ও কুমিল্লা নগর উদ্যানে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। জাদুঘর সূত্র জানায়, ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৩ লাখ টাকার মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর