শিরোনাম
সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

রঙিন রূপবান শিমে হাসছে কৃষক

মাহবুবুল হক পোলেন, মেহেরপুর

রঙিন রূপবান শিমে হাসছে কৃষক

গাছ, গাছের পাতা সবুজ, ফুল ও ফল রঙিন। স্থানীয়ভাবে এ শিমের নাম রঙিন রূপবান। অনেকেই অল্প পুঁজিতে সীমিত জায়গায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই রঙিন শিম চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই এখানকার মাঠে মাঠে এই রূপবান রঙিন শিমের   আবাদ ক্রমে বেড়েই চলেছে। চোখ জুড়ানো এই রঙিন শিমসহ বিভিন্ন জাতের শিমের সমারোহ চোখে পড়ে মেহেরপুরের মাঠে ও বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সরেজমিন মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামের মাঠে দেখা গেছে রঙিন শিম গাছ। মেঠোপথ ও বাড়ির আঙিনায় লাগানো হয়েছে রঙিন শিম। শিমের ফুল ও ফলনে হাসছে পুরো এলাকা। হাসছেন কৃষক। বাগান থেকে শিম সংগ্রহের সময় কথা হয় আমঝুপি গ্রামের পঞ্চাষোর্ধ্ব মোনাজাত আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে এই শিমের বীজ ক্রয় করেন তিনি। এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে তিনি এ শিম চাষ শুরু করেন। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বাজারে শিমের ভালো দাম থাকায় এই পর্যন্ত তিনি ১২ হাজার টাকার মতো লাভ পেয়েছেন। বাগানে আরও ২৫-৩০ হাজার টাকার মতো শিম রয়েছে। সে হিসাবে তিনি আশা করেন তার ৪০ থেকে ৪২ হাজার টাকার মতো লাভ হবে। মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জের রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে রঙিন রূপবান জাতের শিম চাষ করেছেন। রঙিন হওয়ার কারণে বাজারে এই শিমের ব্যাপক চাহিদা। সবুজ শিমের চেয়ে প্রতি কেজিতে এক-দুই টাকা বেশি দামে এই শিম বিক্রি করা যায়। এ পর্যন্ত রফিকুল উৎপাদন খরচ তুলে ১ হাজার টাকা লাভ করেছেন।

এখনো ৪০ হাজার টাকার শিম বেচাকেনা হবে বলে আশা তার। কৃষক আতিকুর রহমান আক্ষেপ করে বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ না থাকায় স্থানীয় চাষিরা সনাতন পদ্ধতিতে শিম চাষ করে থাকেন। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দশ বছর ধরে মেহেরপুরে রঙিন রূপবান জাতের শিম চাষ হচ্ছে। এই রঙিন শিম সাধারণ শিমের চাষের পদ্ধতিতেই চাষ হয়। বর্তমানে মেহেরপুর জেলায় প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে রঙিন রূপবান জাতের শিম চাষ হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর