শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

রাজা-বর্ষারানী বনিবনা হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রাজা-বর্ষারানী বনিবনা হচ্ছে না

সিংহী বর্ষারানীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না সিংহ রাজার। বর্ষারানীকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না রাজা। দীর্ঘদিন সঙ্গীহীন জীবনের পর সাথী হিসেবে রাজাকে পেয়ে বর্ষা ভীষণ উত্ফুল্ল।

তবে বর্ষার প্রতি রাজার কোনো মালুম নেই। এখনো ভাই বাদশাকে হারানোর বেদনায় কাতর রাজা। ঠিকমতো খাবারও খাচ্ছে না। তাই রাজাকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে রংপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে বর্ষাকে দেখার জন্য প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। রংপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি সিংহ সম্রাট ও সিংহী লাইলী পরিবারে জন্ম নেয় রাজা ও বাদশা। ২০১১ সালের ৭ জুন সম্রাট এবং ১৬ নভেম্বর লাইলীর মৃত্যুর পর থেকে একই খাঁচায় বেড়ে ওঠে সিংহ রাজা ও বাদশা। ৯ বছর আট মাস সঙ্গীহীন দিন কাটছিল তাদের। অপরদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া দুই বোন সিংহী নোভা ও বর্ষাও সঙ্গীহীন দিন কাটায়। বিষয়টি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়ায়। পরে দুই চিড়িয়াখানার মধ্যে সিংহ-সিংহী বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৯ আগস্ট বিকালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে সিংহী বর্ষারানীকে রাজার সাথী হিসেবে আনা হয় রংপুরে। পরদিন বাদশাকে নোভার সাথী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে। গত বুধবার জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নোভা ও বাদশার বিয়ে দেয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ছাড়াই কোরবানি ঈদের আগের দিন রাজার খাঁচায় দেওয়া হয় বর্ষাকে। চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর এস এম মোশাররফ হোসেন জানান, রাজাকে পেয়ে আনন্দে উত্ফুল্ল হয়ে ওঠে বর্ষা। রাজাকে বারবার জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করলেও তাকে এড়িয়ে চলে রাজা। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাধে। জখমের ভয়ে বর্ষাকে পাশের খাঁচায় রাখা হয়েছে। ভাব হয়ে গেলে উভয়কে এক খাঁচায় রাখা হবে। তখন স্বাভাবিক চাঞ্চল্যতার পাশাপাশি আয়ুষ্কালও বাড়বে। চিড়িয়াখানার প্রাণী তত্ত্বাবধায়ক (অ্যানিমেল কেয়ারটেকার) নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার পর ভাইকে  হারানোর বেদনা কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাজা। খাচ্ছেও না আগের মতো। তবে রাজার এখন ভরা যৌবন। স্বল্প সময়ে উভয়ের মধ্যে ভাব জমে উঠবে। অবসান ঘটবে একাকী জীবনের।

সর্বশেষ খবর