হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় প্রার্থনা করায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। গতকাল ছিল মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ। দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহর আদালতে মামলার কাজ শুরু হয়। এ সময় কারাগারে থাকা মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালত আগামী ৯ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এদিকে, বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান, পিপি জটিলতার জন্য মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি না থাকায় সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। তবে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটো জানান, পিপি জটিলতার জন্য মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। মামলার বাদী জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়েছিল স্পেশাল পিপি বদলের জন্য। তাদের অভিযোগ ছিল স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা পক্ষপাত করতে পারেন। তার জায়গায় একজন সিনিয়র আইনজীবী নিয়োগ করা হোক। জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম আবেদন পেয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরীর কাছে মতামত চেয়ে পত্র দেন। কিন্তু যথাসময়ে মতামত না পাওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। গত ৭ সেপ্টেম্বর পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে আটজনের বিরুদ্ধে চার শিশু হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত। প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু নিখোঁজ হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।