মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
এলাকাবাসীর কৃতজ্ঞতা

প্রধানমন্ত্রীর চিঠি শীর্ষেন্দুর হাতে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রীর চিঠি শীর্ষেন্দুর হাতে

পায়রা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠির উত্তর হাতে পেল পটুয়াখালীর সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শীর্ষেন্দুর কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় অতিথিদের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক এ কে এম শামীমুল হক সিদ্দিকী শীর্ষেন্দুর হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া চিঠি তুলে দেন এবং তার উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী পায়রা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে তাকে ধন্যবাদ জানায় সর্বস্তরের মানুষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান মণি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধা, মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোহাম্মদ আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রমুখ। ১৫ আগস্ট খরস্রোতা পায়রা নদীতে জনসাধারণের চলাচলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে একটি সেতু নির্মাণের আবেদন জানায় শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। একটি শিশুর চিঠি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী চিঠির উত্তর দেন। শীর্ষেন্দুর উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক এ কে এম শামিমুল হক সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ প্রশাসক খান মোশারফ হোসেন শীর্ষেন্দুকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। পটুয়াখালী সমবায় জেলা অফিসে কম্পিটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত শীর্ষেন্দুর মা শিলা রানী সন্যামত জানান, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে ১৩ আগস্ট আমি ও আমার ছেলে শীর্ষেন্দু পায়রা নদী ও বিষখালী নদী পার হই। ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি রচনা লিখে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। এর আগে ১৩ আগস্ট পায়রা নদী পার হওয়ার সময় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। শীর্ষেন্দু খুব ভয় পেয়েছিল। ১৫ আগস্ট রাতে আমার ছেলে ওই ভয়কে মনে রেখে অনেক কান্নাকাটি করে প্রধানমন্ত্রী কাছে ওই রাতেই একটি চিঠি লেখে। পরে সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাকে পাঠাতে বাধ্য করে।’ তাদের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া গ্রামে। শীর্ষেন্দুর মাতামহ মুক্তিযোদ্ধা অবিনাশ সন্যামত বলেন, ‘আমার নাতির লেখা চিঠির উত্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাতে আমরা অনেক আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’

সর্বশেষ খবর