মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ময়লার ঝুড়িতে ৩ কেজি সোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ময়লার ঝুড়ি থেকে তিন কেজি ওজনের ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ভোরে ইমিগ্রেশনের পাশের টয়লেটের ভিতরে রাখা ময়লার ঝুড়িতে পরিত্যক্ত অবস্থায় সোনার বারগুলো উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। উদ্ধার সোনার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, তাদের দেখে কোনো যাত্রী ময়লার ঝুড়িতে সোনা ফেলে পালিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রায় একই সময় শাহজালাল থেকে ২৫ লাখ টাকার আমদানি-নিষিদ্ধ ৪০২ কার্টন সিগারেট জব্দ করা ২৫ লাখ টাকার আমদানি-নিষিদ্ধ ৪০২ কার্টন সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান জানান, গতকাল ভোরে শুল্ক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে এক যাত্রী সোনার বারগুলো ইমিগ্রেশনের টয়লেটের ঝুড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বারগুলো ময়লার ঝুড়িতে টিস্যু পেপার দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। এর ভেতর পাঁচটি প্যাকেটে ১০টি সোনার বার কালো স্কচটেপে মোড়ানো ছিল। ৫০০ গ্রাম ওজনের পাঁচটি ও ১০০ গ্রাম ওজনের পাঁচটি সোনার বার পাওয়া যায়। এর মধ্যে এক কেজি ওজনের দুটি বার চার টুকরা অবস্থায় ছিল। তিনি জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে ভোর ৫টা থেকে তারা বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি করার একপর্যায়ে ৬টার দিকে ঝুড়িতে সোনার বারগুলো পাওয়া যায়। ভোরের ওই সময়ে বিজি কুয়ালালামপুর, দোহা থেকে কাতার ফ্লাইট ও কুয়েত থেকে কুয়েত ফ্লাইট প্রায় একসঙ্গে অবতরণ করে। ভিডিও ফুটেজ দেখে যাত্রী ও সম্ভাব্য সহযোগী হিসেবে বিমানবন্দরের কর্মীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে জব্দ সোনার বারগুলো ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। সিগারেট জব্দের বিষয়ে মইনুল খান বলেন, গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিমানবন্দরের কাস্টমস হলের চার নম্বর বেল্টের সামনে থেকে ৪০২ কার্টন বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। জব্দ সিগারেটের মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। কাস্টমস হলের চার নম্বর বেল্টের সামনে পড়ে থাকা দুটি লাগেজ, দুটি কার্টন, চারটি হাতব্যাগ থেকে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ও ডানহিল ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করা হয়। এসব লাগেজ ট্যাগে আবু ও জামাল নামের দুই যাত্রীর নাম লেখা রয়েছে। সিগারেটগুলো দোহা থেকে কাতার এয়ারওয়েজের মাধ্যমে ভোরে ঢাকায় আসে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী সিগারেটের প্যাকেটে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কীকরণ লেখা থাকতে হবে। এই সতর্কীকরণ ছাড়া বিদেশ থেকে সিগারেট আমদানি করা যায় না। এ ছাড়া এসব সিগারেটের ওপর শতকরা প্রায় ৪৫০ ভাগ কর দিতে হয়। কর এড়ানোর জন্য এসব সিগারেট পাচার করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর