বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাসদ-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ বোমাবাজি আহত ৩০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগ ও জাসদ সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও বোমাবাজি হয়েছে। এতে  অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতালে ভর্তি আহত সূত্রে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে স্থানীয় জাসদ কর্মী রাজা মেম্বার ও আওয়ামী লীগ কর্মী ঝন্টু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তারা বাকবিতণ্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা, রামদা ও হাঁসুয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সেখানে চার থেকে পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রামদা, হাঁসুয়ার কোপে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে রয়েছে, জুব্বার আলী (৫৫), মোবারক আলী (৩৮), সোহেল রানা (২৩), ঝন্টু মিয়া (৪২), মোহাম্মদ আলী (৩৯), তাহাজ উদ্দীন (৪৮), আবু জোয়াদ্দার (৩২)। বাকিদের নাম তত্ক্ষণাৎ পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিযা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজীব শাহরিয়ার বলেন, আহতদের সবার হাতে পায়ে ও বুকে-পেটে কোপের আঘাত দেখা গেছে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দীন বলেন, দুই পক্ষে সংঘর্ষে ২০-এর অধিক মানুষ আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে আরও পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী বলেন, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে জাসদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের দাবি আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী এই সংঘর্ষে জড়িত নয়। জাসদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।

সর্বশেষ খবর