রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

মামলার ১০ বছর পর ২ জনকে গ্রেফতার করল দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতির অভিযোগে মামলার ১০ বছর পর প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। তারা হলেন কাস্টমের অবসরে যাওয়া পরিদর্শক কাজী রফিকুল ইসলাম ও কালীপদ দাস। গতকাল বিকালে রাজধানীর গুলশান থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল তাদের গ্রেফতার করে।

দুদক সূত্র জানায়, প্রায় ৫ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের এপ্রিলে একটি  মামলা করে দুদক। কাস্টমের ওই দুই কর্মকর্তা বাদে বাকি আসামিরা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ডিপ্লোমেটস অ্যান্ড প্রিভিলেজ পারসন্স ট্যাক্সফ্রি শপের বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত। মামলার পরদিন রফিকুল ও কালীপদ উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের আগস্টে রিট খারিজ হলে মামলাটি সচল হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন। তদন্তের অংশ হিসেবে রফিকুল ও কালীপদকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় ২৮ আগস্ট গ্রেফতার হন পর্যটন করপোরেশনের ট্যাক্সফ্রি শপের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. নাজমুল আরেফীন। তিনি বর্তমানে করপোরেশনের পিটিএস বিভাগের উপব্যবস্থাপক। দুদক সূত্র আরও জানায়, কূটনীতিক ও বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নামে ইস্যু করা ২১৬টি জাল পাস বইয়ের বিপরীতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট করপোরেশনের দোকান থেকে নিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়। আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে এ কাজ করেছিলেন।

খুলনায় আত্মসাতের ঘটনায় এক ব্যবসায়ী গ্রেফতার : এ ছাড়া খুলনায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণের ৩৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গম আমদানিকারক খান মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার করেছে দুদক। গতকাল সকালে খালিশপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালে তিনি গম আমদানির জন্য প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ৭৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে ঋণের কিছু টাকা পরিশোধ করলেও ৩৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ছিল। দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম শামীম ইকবাল জানান, ঋণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর