বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
গার্হস্থ্য অর্থনীতিকে ইনস্টিটিউট দাবি

শিক্ষামন্ত্রী ও মাউশির মহাপরিচালক অবরুদ্ধ সড়ক অবরোধ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

আজিমপুর সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইনস্টিটিউট করার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কলেজটির ছাত্রীরা। একই সঙ্গে তারা সহ-শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবিও জানান। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত  নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ছাত্রীরা। এ ছাড়া একই দাবিতে তারা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক ওয়াহিদুজ্জামানকে অবরুদ্ধ করেন।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে কলেজটির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দেন মাউশির মহাপরিচালক। এ সময় কলেজের ছাত্রীরা মহাপরিচালকের কাছে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজকে ঢাবির ইনস্টিটিউট করার দাবি জানান। মহাপরিচালক ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ছাত্রীদের জানান। এরপর ছাত্রীরা কলেজে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মহাপরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধের কারণে নীলক্ষেত-শাহবাগসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। নিউমার্কেট ও আজিমপুর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সন্ধ্যার দিকে শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার পথে ব্যানবেইজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ব্যানবেইজ কার্যালয়ে মিটিং করছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মিটিং শেষে ব্যানবেইজ থেকে যাওয়ার পথে শিক্ষামন্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রীরা। পরে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে। পরে ছাত্রীরা অবরোধ তুলে নিলে শিক্ষামন্ত্রী ব্যানবেইজ অফিস ত্যাগ করেন।

পরে ছাত্রীরা শহীদ মিনারে গিয়ে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলন চলাকালে কলেজের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট হিসেবে স্বীকৃতি চাই। গত ২০ বছর ধরে কলেজের ছাত্রীরা এই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এ দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট এবং সহ-শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এদিকে আন্দোলন চলাকালে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার এবং একই সঙ্গে কলেজের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে আন্দোলন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর