বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ধানের পোকা নিধনে আলোক ফাঁদ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

ধানের পোকা নিধনে আলোক ফাঁদ

রানীনগরে কৃষকদের কাছে ধানের পোকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জনপ্রিয় একটি পদ্ধতির নাম আলোকফাঁদ। বর্তমানে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমন ফসলের খেতে পোকামাকড়ের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য এই আলোকফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধান খেতের আইলে কোথাও পানি ভর্তি পাত্রে, কোথাও কাগজের ওপর আলো জ্বেলে ধানে আক্রমণাত্মক বিভিন্ন পোকা ধরছেন। কৃষকরা নিজেই জমিতে এই পোকাগুলোর পরিমাণ দেখে ধান খেতে পোকার আক্রমণের আগেই কোন ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে তা খুব সহজেই নিরূপণ করতে পারছেন। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা নিজেই তাদের আমন খেতে কোন ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে তা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রয়োগ করতে পারছেন। এতে পোকার আক্রমণের আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছেন কৃষকরা। এই আলোকফাঁদ ব্যবহার করে এলাকার অনেক কৃষক বর্তমানে খুব কম ওষুধ ব্যবহার করছেন। এতে কৃষকদের খরচ অনেকটাই কমে গেছে এবং ধানের উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের কৃষক লোকমান, জিসারুল, সিরাজ ও কাশিমপুর গ্রামের কৃষক জাহেদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, সালাস, আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মান্নান জানান, তারা সবাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ধানের খেতে পোকামাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই কৃষকরা ধানের খেতের পোকামাকড় নিজ হাতে নিধন করতে পারছেন। কৃষকরা যদি এই পদ্ধতিটি আমন মৌসুমে অব্যাহত রাখেন তাহলে একদিকে তাদের ধান উৎপাদনে খরচ কম হবে এবং অপরদিকে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আর এটা পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি।

সর্বশেষ খবর