শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
সাবেক সেনা কর্মকর্তা হত্যা

গৃহকর্মীকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএসের নিজ বাসায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াজী আহমেদ চৌধুরীর (৭৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৃহকর্মী আবদুল আহাদকে খুঁজছে পুলিশ। তবে মামলা করলেও আবদুল আহাদই যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত এ বিষয়টি মানতে পারছেন না নিহতের স্বজনরা। তারা বলছেন, অবশ্যই একটি মহল পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে সাবেক সেনাকর্মকর্তা ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীকে। হয়তো তারাই আবদুল আহাদকে লুকিয়ে রেখেছে। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ বলেছেন, গৃহকর্মীকে এ মুহূর্তে আমাদের খুব প্রয়োজন। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে এরই মধ্যে আমরা অনেকগুলো সম্ভাব্য কারণ জানতে পেরেছি। এর মধ্যে সম্পত্তি এবং পারিবারিক বিষয়ও থাকতে পারে। এখনো মন্তব্যের সময় আসেনি বলে জানান তিনি। বুধবার সকালের দিকে মহাখালী ডিওএইচএস এর ৪ নম্বর রোডের ১৪৮ নম্বর নিজ বাসায় খুন হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ওয়াজি। গুরুতর অবস্থায় ওয়াজী আহমেদ চৌধুরীকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পর গতকাল সামরিক কবরস্থানে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বড় ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী আসার পর লাশের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় বাসার গৃহকর্মী আবদুল আহাদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে নিহতের ভাতিজা রিশাদ আহমেদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্য রাতে কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গুলশানের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধ ছিল তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। সম্ভাব্য অনেকগুলো কারণের মধ্যে এ বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তারা। নিহতের ভাতিজা রিশাদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, চাচাকে চার-পাঁচজন মিলেই খুন করেছে। এখানে আবদুল আহাদের একার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয় হত্যাকাণ্ড চালানো। আপনাদের কোনো সন্দেহ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা পুলিশকেই এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করুন। তারাই ভালো বলতে পারবে। পুলিশের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।

মহাখালী ডিওএইচএসের পাঁচতলা বাড়ির দুই তলায় ছোট ছেলে ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে বসবাস করতেন সেনা কর্মকর্তা ওয়াজী আহমেদ চৌধুরী। বড় ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী গত আট বছর ধরে তার পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী, একই সঙ্গে কানেও কম শোনেন। বাড়িতে নিরাপত্তা প্রহরী এবং গৃহকর্মীই ছিল সেনা কর্মকর্তার ওয়াজীর ভরসা।

 

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর