রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পুলিশের জালে আটকা পুলিশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চোরাচালানের দেড় কেজি সোনা উদ্ধার করতে গিয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার সেনপুর বাজারে থানা পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। একই সঙ্গে আটক হয়েছেন গণপিটুনিতে আহত অন্য এক সোনা চোরাকারবারি। তবে ঝিনাইদহ সদর থানায় কর্মরত পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম পল্টু ও তার সহযোগী কনস্টেবল মারুফ হোসেনের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। কেন তারা তাদের কর্মস্থল ছেড়ে পাটকেলঘাটা থানার সেনপুর বাজারে অভিযানে এলেন সে বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম। আর আটক সোনা চোরাকারবারি বিপ্লব চ্যাটার্জিকে ইয়াবা মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, শুক্রবার রাতে তার কাছে স্থানীয়রা খবর দেয়, সেনপুর বাজারে সোনাসহ তিনজনকে আটক করে রেখেছে স্থানীয়রা। পাটকেলঘাটা থানার এএসআই মুরাদ দ্রুত সেনপুর গিয়ে জনরোষ থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এরা হলেন যশোরের কেশবপুরের ভাটপাড়া গ্রামের সুধীর চ্যাটার্জির ছেলে বিপ্লব চ্যাটার্জি, ঝিনাইদহে কর্মরত পুলিশের এএসআই রবিউল ইসলাম পল্টু ও তার সহযোগী কনস্টেবল মারুফ হোসেন। এ সময় বিপ্লবের কাছে দুই পিস সোনা ছিল বলে জানান ওসি। সেনপুর গ্রামবাসী জানায়, রাতে একটি মোটরসাইকেলে দ্রুত বাজারে আসেন তিন আরোহী। এদের একজন বিপ্লব চ্যাটার্জি ‘আমাকে বাঁচান’ বলে চিৎকার দেন। বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে কোনো কিছু না বুঝেই গণপিটুনি শুরু করে দেয়। এ সময় তারা জানতে পারেন বিপ্লবের কাছে দেড় কেজি চোরাচালানের সোনা রয়েছে। তবে সেই সোনা গণপিটুনির মধ্যে কে বা কারা কীভাবে বিপ্লবের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে, তা তারা বলতে পারেনি। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বিপ্লব দেড় কেজি সোনা নিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনায় খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে বাসে চড়েন। এমন খবর শুনে কনস্টেবল মারুফ নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাস থেকে নামান। পরে তাকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চলে আসেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা অভিমুখে।

এএসআই রবিউল ইসলাম পল্টু পাটকেলঘাটার রফিকুল ইসলামের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানায় চাকরিরত। তিনি এ ঘটনার এক দিন আগে ছুটিতে বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। তার বড় ভাই স্কুলশিক্ষক আবদুর রব পলাশ জানান, রবিউল একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। তিনি সোনা উদ্ধারের খবর শুনে সেনপুর বাজারে গেলে তারা সবাই গণরোষের সম্মুখীন হন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর