সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গেরিলাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির নির্দেশ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের ২ হাজার ৩৬৭ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা-সংবলিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ আদেশ দেন। ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই দিন পর্যন্ত এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের ২ হাজার ৩৬৭ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা- সংবলিত গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করে ৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে গেরিলা বাহিনীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। ২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেরিলা বাহিনীর ওই ২ হাজার ৩৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। পরে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে ওই গেরিলা যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর সরকারের তালিকা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ঐক্য ন্যাপ) সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রিটে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা এবং সদস্যরা একটি বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি গেরিলা বাহিনীর কমান্ডাররা ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার এবং স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারসহ প্রতিটি সরকার এই বিশেষ গেরিলা বাহিনীকে মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহণকারী অন্যতম মুক্তিবাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

সর্বশেষ খবর