মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

এক মাস পর টঙ্গীর টাম্পাকোর উদ্ধার অভিযান শেষ

গাজীপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি

গাজীপুর টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের এক মাস পর গতকাল ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। সকালে উদ্ধারকাজের জন্য অস্থায়ীভাবে স্থাপিত সেনাক্যাম্পে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উদ্ধারকারী দলের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ শফিউল আজম,গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, টঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম সাংবাদিকদের বলেন, ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে আর কোনো লাশ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া বাকি ধ্বংসাবশেষ কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অপসারণ করবেন বলে আবেদন করার পরিপ্র্রেক্ষিতে আজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্ধার তত্পরতা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেননি। প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় সংঘটিত আগুনে চারটি ভবনের তিনটি ধসে পড়ে। এর দুদিন পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে একটি মেডিকেল টিমসহ সেনাবাহিনীর ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডের শতাধিক সদস্যের উদ্ধারকারী দল ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা শুরু করে। তাদের সহায়তা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। এতে এ পর্যন্ত ৩৯ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২৭টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় জানার অপেক্ষায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে ৮টি লাশ। এ ছাড়া আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৬ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন নয়জন। এদিকে এ ঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার মালিক মকবুল হোসেনকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে গত ১২ সেপ্টেম্বর কারখানার কর্মী নিহত জুয়েলের বাবা আবদুল কাদের পাটোয়ারী একটি এবং ১৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক অজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে মকবুল হোসেন ও তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর