মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

পাহাড়ি লটকনের জয়জয়কার

জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি

পাহাড়ি লটকনের জয়জয়কার

পাহাড়ের লটকন দেশের সবখানেই ব্যাপক চাহিদা তৈরি করেছে। বিশেষ করে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে পাহাড়ি লটকনের বেচাকেনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যে কারণে আবাদিদের লটকন চাষে আগ্রহী করে তুলেছে।

পাহাড়ি এলাকার লটকন নানা নামে পরিচিত। চাকমা ভাষায় একে ‘পচিমগুলো’ মারমা ভাষায় ‘ক্যানাইজুসি’ ত্রিপুরা ভাষায় ‘খুচমাই’ ও বাংলা ভাষায় ‘লটকন’ বলা হয়। পানছড়ি বাজারে লটকন বিক্রি করতে আসা প্রদীপ পাড়ার উত্তম বিকাশ ত্রিপুরা, জিরানী খোলার চিনু মারমা, মরাটিলর চর কুমার ত্রিপুরা, কাজল দেবী ত্রিপুরা, লোগাং শান্তি নগর গ্রামের হারুণ, মধ্যনগর গ্রামের রফিক ও মোল্লাপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক এই প্রতিনিধিকে জানান, লটকনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় তারা এখন এ ফল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন। তারা নিজেদের গাছের ফল নিজেরাই বিক্রি করছেন। অনেকে অগ্রিম ফলসহ গাছ বিক্রির ব্যবসাও করছেন। তারা জানান, প্রতি কেজি লটকন বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। থোকা বিক্রি করছেন ১০ টাকায়। বাজারে কেজির চেয়ে থোকার চাহিদাই বেশি। বিশেষ করে পর্যটকদের কাছে থোকায় বাধা লটকনের  চাহিদা খুব বেশি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উল্টাছড়ি ইউপির মধ্যনগর গ্রামের রফিক মিয়ার বাড়ির আঙিনায় সবুজ পাতায় বেষ্টিত গাছের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ঝুলছে হাজারো লটকন। রফিক মিয়ার স্ত্রী লায়লা বেগম জানান, প্রতিবছরই গাছজুড়ে লটকন ধরে। নিজেরা খেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়ার পরও এক গাছ থেকে ৩/৪ হাজার টাকার লটকন বিক্রি করছেন। লাভজনক হওয়ায় এবং বাজারে এর চাহিদা থাকায় এখানকার লোক লটকন উৎপাদনে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন। পানছড়ি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মানিক মিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাম এখন মৌসুমী ফলে ভর্তি। এখানকার মাটি লটকন চাষের জন্য উপযোগী। তাই কৃষকরা এর আবাদ করছেন।’

সর্বশেষ খবর