বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

খাদিজার গলায় অস্ত্রোপচার সিলেটে ঘৃণাস্তম্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদিজার গলায় অস্ত্রোপচার সিলেটে ঘৃণাস্তম্ভ

কলেজছাত্রী খাদিজা বেগমের হামলাকারী বদরুলের ছবি মুড়িয়ে ডাস্টবিনের মতো ঘৃণাস্তম্ভ তৈরি করে সেখানে থু-থু নিক্ষেপ করেছেন পথচারীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে চাপাতির আঘাতে সংকটাপন্ন অবস্থায় লাইফসাপোর্টে থাকা খাদিজা বেগম নার্গিসের স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক ডাক্তার মির্জা নাজিম উদ্দীন জানিয়েছেন, খাদিজার ‘প্যাসেকটমি’ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় তার গলায় অক্সিজেন নল স্থাপন করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, পর্যায়ক্রমে খাদিজাকে লাইফসাপোর্ট থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যই এ উদ্যোগ। তার মুখ থেকে অক্সিজেন    নল সরিয়ে গলার সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়। সিলেট থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক জানিয়েছেন, সিলেটে বদরুলের ঘৃণাস্তম্ভে ‘আমাকে ব্যবহার করুন’ আর ‘থু-থু ফেলুন’ লেখা সংবলিত দুটি ডাস্টবিন ব্যবহার করা হয়। পথচারী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ  সেই স্তম্ভে থু-থু ফেলে তীব্র ঘৃণা জানায়। গতকাল বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচি পালন করে। এর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।  সেখানে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া বক্তব্য দেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফয়সল আলম সভাপতিত্ব করেন। খাদিজার বাবা আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমার মেয়ের জন্য  দেশ-বিদেশের মানুষ চোখের পানি ফেলছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আপনারা সবাই আমার  মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। যাতে আমার মেয়ে সুস্থ হয়ে আমার কোলে ফিরে আসে।’ সমাবেশে বক্তারা বলেন, খাদিজার ঘটনায় গোটা দেশ এখন প্রতিবাদমুখর। তনু, আফসানাদের মতো যেন খাদিজার ঘটনা আড়ালে চলে না যায়। সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকেই খেয়াল রাখতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে সাধারণ মানুষের আন্দোলন যেন চলতেই থাকে। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দীন আহমদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সিলেটের সভাপতি মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর