বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাল্যবিয়েতে শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় এখনো বাংলাদেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রতি ৭ সেকেন্ডে একটি করে কন্যাশিশুর বিয়ের ঘটনা ঘটছে। ১৫ বছরের কম বয়সী কন্যাশিশুরা এই বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। শিশু অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গতকাল আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন নতুন এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসির। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তথ্যানুযায়ী, বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয়  দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশে ১৮ শতাংশ মেয়ের ১৫ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে হয়। ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৫২ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়। সকালে বিবিসির খবরে জানানো হয়, সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্যানুসারে, ১০ বছর বয়সী কন্যাশিশুদের অনেক বেশি বয়সী পুরুষের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ভারত, সোমালিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বিয়ের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক কন্যাশিশু বিয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, অল্প বয়সে বিয়ের মধ্য দিয়েই মেয়েদের জীবনের নানান সমস্যার সূত্রপাত। এ সংকটের চক্র মেয়েদের জীবনজুড়ে চলতে থাকে।

প্রতিবেদনে কন্যাশিশুদের বিয়ের ক্ষেত্রে সংঘাত, দারিদ্র্য ও মানবিক বিপর্যয়কে মূল অনুঘটক হিসেবে দায়ী করা হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের মুখ্য নির্বাহী হেলি থর্নিং-স্মিডটস বলেন, বাল্যবিয়ের মাধ্যমে মেয়েদের একধরনের ক্ষতির চক্র শুরু হয়। এটা মেয়েদের শিক্ষা, উন্নয়ন ও শিশু হিসেবে বড় হওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যে মেয়েদের শিশু বয়সে বিয়ে হয়, তারা স্কুলে যেতে পারে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের শিকার হয়। তারা কম বয়সে গর্ভ ধারণ করে এবং যৌনবিষয়ক সংক্রমণ (সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন—এসটিআই), এমনকি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মানবিক বিপর্যয়ের সময়ও মেয়েরাই সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হয়। সিয়েরা লিওনে ভাইরাসজনিত রোগ ইবোলা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার সময় দেশটিতে স্কুলপড়ুয়া প্রায় ১৪ হাজার কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা ছিল। ওই সময় স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণার অন্যতম কারণ ছিল এসব কিশোরী।

ইউনিসেফের মতে, বর্তমানে ৭০ কোটি মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে ৯৫ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর