শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কাল শুরু দ. এশীয় অর্থনৈতিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীকাল ঢাকায় শুরু হচ্ছে ২ দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে পুনর্বিবেচনা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এ ছাড়াও সহযোগিতায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় আরও চারটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। আয়োজকরা বলছেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর আঞ্চলিক সংগঠন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন এ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় অর্থনৈতিক এই সম্মেলনের গুরুত্ব রয়েছে। ১৬ অক্টোবর সম্মেলন শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সংম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সংম্মেলন বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনের ১৫টি সেশনে এ অঞ্চলের ৮টি দেশের শতাধিক আলোচক অংশ নেবেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ১৮ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, নেপালের ১০, মালদ্বীপের ২, শ্রীলঙ্কার ১১ ও আফগানিস্তানের ৪ জন এবং অন্যান্য ১০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন এসব দেশের সরকারের প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং অর্থনীতি সংক্রান্ত শীর্ষ স্থানীয় গবেষকরা অংশ নেবেন। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহায়তা বাড়ানো সম্মেলনের উদ্দেশ্যে। বিশেষ করে জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে এক দেশ অন্য দেশকে কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটি আলোচনায় উঠে আসবে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু কারণে এটি স্থগিত হয়েছে। এরপর অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলন দেশগুলোর আঞ্চলিক সহায়তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার উৎসাহ জোগাবে। তার মতে, আঞ্চলিক সহযোগিতার কারণেই পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চল। কারণ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশাল বাজার রয়েছে। এখানে মোট জনসংখ্যা ১৫০ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চাংশ। বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১.৮ শতাংশ এই অঞ্চলে। কিন্তু দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য মাত্র ৫ শতাংশ। সম্মেলনে অন্যান্য দেশের যে সব সংগঠন সহায়তা করছে এর মধ্যে রয়েছে—ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্ট্যাডি অব শ্রীলঙ্কা (আইপিএস), ভারতের রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রি (আরআইএস), নেপালের সাউথ এশিয়া ওয়াচ অন ইকোনমিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (এসএডব্লিউটিইই) এবং পাকিস্তানের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউট (এসডিপিআই)।

সর্বশেষ খবর