রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

যার কাছে বিনিয়োগ পাব, তা-ই নেব

------আবদুল মাতলুব আহমাদ

যার কাছে বিনিয়োগ পাব, তা-ই নেব

আঞ্চলিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে উল্লেখ করে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সবার কাছ থেকেই বিনিয়োগ পাচ্ছি। তাই ভারত, চীন ও জাপান, যার কাছ থেকে যখন যে বিনিয়োগ পাব, তার কাছ থেকে তা-ই নেব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সঙ্গে আলাপকালে এফবিসিসিআইর সভাপতি আরও বলেন, বিশ্বে ভারসাম্য সব সময় পরিবর্তন হয়। ভারসাম্য কখনো স্থিতিশীল হয় না। এক দিন এক দেশ বড় হয়, আরেক দেশ পড়ে যায়। যেমন আগে ছিল তুর্কি। এখন নেই। এক সময়ে ইংল্যান্ড ছিল, এখন নেই। এক সময়ে রাশিয়াও ছিল। এমনিভাবে একেক দেশের ভারসাম্য একেকভাবে পরিবর্তন হয়। এখন ব্যবসাটা চলে এসেছে এশিয়াতে। এশিয়াতে যারা আছে যেমন— বাংলাদেশ, চীন ও ভারত। ব্যবসা এই দিকেই ঝুঁকছে। বিশ্বও এদিকেই ঝুঁকছে। বাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বারোপ করে আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এখন আমাদের অঞ্চলের দিকে ভার বাড়ছে। আমাদের এই অঞ্চলের দিকে সবচেয়ে সফল বাংলাদেশ। কারণ, এক যুগ ধরে মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি-জিডিপি ৬ শতাংশের ওপরে। এটা কোনো দেশই দেখাতে পারবে না। যার ফলে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সবার কাছ থেকে এমন বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাচ্ছি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চীনের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরে ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে গেছে। এক দাগে সরকারি ও বেসরকারি খাতে কোনো একটি দেশের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুত করা আমাদের দেশের ইতিহাসে আর দেখিনি। এটা আমাদের জন্য সুখের দিন। আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার কষ্টের ফসল, এই প্রাপ্তি বাংলাদেশ-চীন ভালো সম্পর্কের। ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা ভালো রাজনৈতিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি বেশি চীনের বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। তারই সাফল্য আমরা পেলাম চীনের রাষ্ট্রপতির সফরে। আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, আমাদের বেসরকারি খাতে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন এবং সরকারের সঙ্গে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন হলে বা পুরোটা না হয়ে অর্ধেক হলেও দুই দেশ ব্যাপক লাভবান হবে। দেশের জনগণ লাভবান হবে। দুই দেশের ব্যবসা ও শিল্পের প্রসার ঘটবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর