দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ। আজ আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এদিকে, বিশ্বব্যাংক বলছে, ছয় বছরে বাংলাদেশে অতিদরিদ্রের হার কমেছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশ ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, দেশে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব?্যাহত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশে অতিদরিদ্রের হার কমে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে এ হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী যাদের দৈনিক আয় ১ দশমিক ৯০ ডলারের (প্রায় ১৪৫ টাকা) কম তারাই অতিদরিদ্র। আর এটা ২০১১ সালে ছিল সোয়া ১ ডলারের (১১৫ টাকা) কম। বিশ্বব্যাংক বলছে, গত অর্থবছরে অর্জিত ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ভিত্তি ধরে তারা অতিদরিদ্রের হার হিসাব করেছে। প্রত্যেক অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিকে বিচার করে বিশ্বব্যাংক হতদরিদ্রের হার ঠিক করে। সে হিসাবে ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশে অতিদরিদ্রের হার ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দরিদ্রের হার শূনে?্য নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। নিয়ম অনুযায়ী অতিদরিদ্রের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এলেই তাকে শূন্য ধরা হয়। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।