বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিতর্কিত ও হাইব্রিডদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

---—সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

বিতর্কিত ও হাইব্রিডদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে

ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাদের নিয়েই আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তিনি বলেছেন, দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে বিতর্কিত, অদক্ষ, হাইব্রিড, জামায়াতকে আশ্রয়- প্রশ্রয়দানকারী এবং চাটুকার নেতাদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ঝন্টু আরও বলেন, দলের কাণ্ডারি হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার হাতেই দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আর কোনো নেতৃত্ব নেই। তবে ভবিষ্যতে দলের নেতৃত্ব যেন শেখ হাসিনা তার উপযুক্ত সন্তান, তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের দিকপাল সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাতেই দেন। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র ঝন্টু এ অভিমত প্রকাশ করেন। সাবেক এমপি ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ঝন্টু বলেন, নিষ্কলুষ ও সুশৃঙ্খল নেতার হাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থাকবে। সম্মেলনের পরে গঠন করা নতুন কমিটিতে মাঠপর্যায়ের কর্মিবান্ধব এবং মানুষের আস্থাভাজন নেতাদের স্থান দিতে হবে—এটিই আমার চাওয়া। ঝন্টু আরও বলেন, ১৯৮১ সালে এক চরম অবস্থায় আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন শেখ হাসিনা। সে সময় আওয়ামী লীগ কোমর খাড়া করে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াতে পারবে— দেশের মানুষের সে বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা তার মেধা, বুদ্ধিমত্তা ও আন্তরিকতার মনোভাব নিয়ে নবীন এবং প্রবীণ নেতাদের সমন্বয়ে দলকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন। এ জন্য তাকে নানান ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। দলের প্রতি শেখ হাসিনার যে দরদ—এমন দরদ দলের আর কারও আছে বলে আমার মনে হয় না। মেয়র ঝন্টু বলেন, শেখ হাসিনা শুধু দেশকেই নয়, দেশের মানুষকেও ভালোবাসেন। বিশেষ করে গরিব মানুষের উন্নয়নে তিনি অনেক করেছেন।

 দেশের মানুষ বর্তমানে যত ভালো আছে, আগে এত ভালো ছিল বলে আমার মনে হয় না। এ কারণেই শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। আমি মনে করি শেখ হাসিনা এবারের সম্মেলনে দলকে আরও জনবান্ধব এবং কর্মিবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলবেন। যেখানে যোগ্য ও সঠিক লোকরা সঠিক স্থান পাবেন। যারা ত্যাগী নেতা, গ্রুপিংয়ের শিকার হয়ে নিষ্ক্রিয় ছিলেন— এবার দলে ঠাঁই দিয়ে তাদের কাজে লাগাবেন। আমি মনে করি প্রবীণদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নবীনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আওয়ামী লীগকে একটি স্বচ্ছ রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন। যারা শেখ হাসিনার উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন।

সর্বশেষ খবর