বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি বিভিন্ন সেবাপ্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় যে ডিজিটালাইজেশনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে তা দেখতে হলে যেতে হবে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ২ নম্বর হলে। এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মেলা ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে এর উদ্বোধন করেন। সরকারের ৪০টি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজড হয়ে ওঠার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে এ মেলায়। আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস এবং এটুআই কর্মসূচি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এ মেলার এবারের থিম ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’। জানা যায়, এবার ডিজিটাল মেলায় সরকারের  বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ও মন্ত্রণালয় তাদের বিভিন্ন ই-সেবা সম্পর্কে দর্শনার্থীদের তথ্য দিয়ে সেবা করছে। এ ছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকও তাদের অনলাইন সেবা সম্পর্কে মানুষকে তথ্য জানাচ্ছে। আগত দর্শনার্থীদের টিভি, কম্পিউটার ও অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে এ সেবা নিয়ে তৈরি করা তথ্যচিত্রের প্রদর্শনীও দেখাচ্ছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সেবার মধ্যে ই-ফায়ার লাইসেন্স, বিডি পুলিশ হেল্পলাইন, হ্যালো সিটি অ্যাপ, শিক্ষাভিক্তিক দুরবিন অ্যাপ ইত্যাদি ই-সেবা সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে অংশগ্রহণকারী সংস্থা গ্রাহকদের সাহায্য করছে। মেলা উপলক্ষে সাতটি দেশের মন্ত্রী আইসিটি-সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সম্মেলনে গতকাল বিকালে যোগদান করেন। মেলায় মাইক্রোসফট, ফেসবুক, বিশ্বব্যাংক, জেডটিই, হুয়াইসহ ৪৩টি বিশ্বখ্যাত আইসিটি কোম্পানি ও ২০০ আইটিবিষয়ক বক্তা অংশগ্রহণ করছেন। এ ছাড়া তিন দিনের মেলায় ১২টি সেমিনার, আলোচনা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকালে ডিজিটাল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভাপতিত্ব করেন। এতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল ডিজিটাল মেলার প্রথম দিনে গিয়ে দেখা যায়, আগ্রহী দর্শকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ই-সেবা সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিভিন্ন স্টলের মধ্যে আছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা সিটি করপোরেশন, সমাজসেবা অধিদফতর, পরিকল্পনা কমিশন, বিদ্যুৎ বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ভূমি বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, রেল বিভাগ, সড়ক ও পরিবহন বিভাগসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের স্টল। বাংলাদেশ পুলিশের স্টলে কথা হলে এক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন পুলিশ সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাচ্ছি। এ ছাড়া আগত দর্শকদের বড় টেলিভিশন স্ক্রিনে আমাদের সেবা সম্পর্কে অবগত করছি।’ মেলায় আগত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দর্শক রাজীব বলেন, ‘এ মেলায় না এলে জানতে পারতাম না যে সরকারি সেবা সংস্থাগুলো মানুষকে এত সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এখানে এসে প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য জানতে পেরেছি।’ এ ছাড়া বসুন্ধরা কনভেশন সিটির অন্য দুটি হলেও বিভিন্ন বেসরকারি আইটি কোম্পানি, ইলেকট্রনিকস পণ্যের দোকান, ব্যাংক, অ্যাপ ও গেমিং কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি হলের বাইরেই আগত দর্শকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আয়োজক কর্তৃপক্ষ আশা করছে আইসিটি বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারী, ক্রেতা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী মিলিয়ে এবার মেলায় প্রায় ৫ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হতে পারে।

সর্বশেষ খবর