শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজধানীতে নিরাপত্তার রেড অ্যালার্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে নিরাপত্তার রেড অ্যালার্ট

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশেপাশের এলাকা এখন সিসি ক্যামেরার আওতায় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে রেড অ্যালার্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এরই মধ্যে ঢেকে দেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে। সম্মেলনস্থলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর গোটা রাজধানীতে পুলিশের দশ হাজার ও র‌্যাবের পাঁচ হাজার সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন মাঠে। বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। সন্দেহ হলেই তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীরা।

পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, যে কোনো নাশকতা প্রতিহত করতে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ সাদা পোশাকে পুলিশ, সোয়াত, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াডসহ পুলিশের অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা রয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চ, প্যান্ডেল ও গেট ব্যবস্থাপনা এসএসএফ-এর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন  পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, সম্মেলনের সময় পুরো ঢাকা শহরকে সুদৃঢ় নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে ঢেকে ফেলা হবে। সম্মেলনজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে মনিটরিং করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা পরখ করতে গতকাল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া কাউকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে সম্মেলনে কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো অস্ত্র বা দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রও। জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক সিসিটিভি স্থাপন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর জন্য ওই এলাকায় মোতায়েনকৃত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সঙ্গে সমন্বয় করেই র‌্যাব, পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সম্মেলনের ডেলিগেটস, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিদের চলাচলে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য আজ শুক্রবার থেকে সম্মেলন এলাকার আশপাশে ভবঘুরে, হকার ও সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। শুধু আমন্ত্রিত অতিথি ও দলের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরাই সম্মেলন এলাকায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন। এর আগে গত বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। ঘুরে দেখেন উদ্যানের বিভিন্ন এলাকা। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, কাউন্সিলে বড় জমায়েত হবে। প্রচুর লোকজনের সমাগম ঘটবে। এ জন্য সব ধরনের আশঙ্কা মাথায় রেখেই সম্মেলনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেই র‌্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। ডিএমপি সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে সম্মেলন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেবে পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রাখবে তিন হাজার পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ সন্দেহভাজন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর