শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : মন্ত্রী

আত্মসমর্পণ করল দস্যু সাগর বাহিনী

বরগুনা প্রতিনিধি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বনদস্যু-জলদস্যু-জঙ্গি কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো ধরনের সন্ত্রাসীর আস্তানা বাংলাদেশে হবে না। আমি শেষবারের মতো বলব, এ ধরনের নোংরা কাজ থেকে বিরত থাকুন না হলে ভালো হবে না। হিংসার পথ ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসুন।’

গতকাল জলদস্যু সাগরবাহিনীর ১৩ সদস্যের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বরগুনার সার্কিট হাউস ময়দানে তিনি এ কথা বলেন। র‌্যাব-৮-এর আয়োজনে এ সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন দস্যুরা। মন্ত্রী বলেন, বরিশাল র‌্যাব সুন্দরবন ও সাগরে জলদস্যু নির্মূলে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। সেই সঙ্গে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে জলদস্যু ও বনদস্যু নির্মূল করছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার মো. আকরাম হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. বশিরুল আলম, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডার একরাম হোসেন, পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জলদস্যুরা আটটি বিদেশি একনলা বন্দুক, তিনটি দেশি একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, দুটি পয়েন্ট২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, চারটি এলজি, দুটি দেশি কাটারাইফেল ও ৫৯৬ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ জমা দেন। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হলেন জলদস্যু সাগরবাহিনীর প্রধান আলমগীর শেখ ওরফে সাগর, কামরুল ফকির, আবদুল মালেক, কাদের শেখ, হাফিজুর রহমান শেখ, কবীর সরদার, দেলোয়ার শেখ, হাসান সরদার, নান্না ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, রাজু শেখ, লিটন হাওলাদার, তরিকুল গাজী। র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জলদস্যু ও বনদস্যুদের মোকাবিলা করা হবে। যারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করবেন ভালো, আর না করলে তাদের পরিণতি নিহত জলদস্যুদের মতোই হবে। গডফাদারদের মুখোশ খোলা হবে। মূল হোতাদেরও একই অবস্থা হবে। যারা আজ সাগরে অর্থ দিয়ে এ ধরনের অপরাধী তৈরি করছেন তারা কেউ রেহাই পাবেন না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

সর্বশেষ খবর