শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাবি শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ড

পুলিশের টার্গেটে জালিয়াত চক্র

জয়শ্রী ভাদুড়ী, রাবি

পুলিশের টার্গেটে জালিয়াত চক্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর মৃত্যুর ঘটনার নেপথ্যে জালিয়াতি চক্রের যোগসাজশকে লক্ষ্য করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাবির নবাব আবদুল লতিফ হলের পেছনের নর্দমা থেকে ওই শিক্ষার্থীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নগরীর মতিহার থানার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, নিহত শিক্ষার্থীর এক পায়ের জুতা তার রুমের সামনে এবং অন্যটি পাওয়া গেছে হলের পেছনের জঙ্গলে। এ ছাড়া লিপুর শরীরে সব সময় থাকা তাবিজ ওর বিছানায় পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লিপুর কয়েকজন সহপাঠী জানান, গত বছরের শেষের দিকে একটি জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয় লিপু। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়ায় পূর্বশর্ত অনুযায়ী টাকা তাকে দেয়নি জালিয়াত চক্রটি। এ ঘটনার পরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয় লিপু। সহপাঠীরা জানান, প্রক্সির টাকা নিয়ে ওই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে দরকষাকষি চলছিল লিপুর। টাকা পয়সার লেনদেন কিংবা চক্রের সদস্যদের পরিচয় ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় ঘটতে পারে এ হত্যাকাণ্ড। আর গতকাল রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলোতে প্রত্যেক বছরই ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক করে পুলিশ। হত্যার ঘটনার সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের। জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নিহত শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু নবাব আবদুল লতিফ হলের ৩২৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন। ১৫ দিনের মাথায় অজ্ঞাত কারণে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় তাকে। তার কয়েক মাস পরে বরাদ্দ পেয়ে তিনি ২৫৩ নম্বর কক্ষে ওঠেন।  হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে হলের পেছনের নর্দমার যে স্থানে তার মরদেহ পড়েছিল তার উপরের তিন তলায় সেই ৩২৩ নম্বর কক্ষ। ওই কক্ষের পেছনের জানালায় কোনো গ্রিল নেই। মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জালিয়াতি চক্রের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। নিহত শিক্ষার্থীর রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর