শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বদলে গেছে রাজধানী

ঢাকার হোটেলে ঠাঁই নেই, সারা দেশে তোরণ আলোকসজ্জা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বদলে গেছে রাজধানী

দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বদলে গেছে রাজধানী ঢাকা। সারা দেশ থেকে আসা তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় অর্ধ লাখ দলীয় নেতা-কর্মীর মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সম্মেলন স্থলকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন উপ-কমিটির মাধ্যমে। মহানগরীর প্রধান সড়কগুলো সাজিয়ে তোলা হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। সড়ক দ্বীপগুলোতে কয়েকদিন ধরে যেন আলোর বন্যা বইছে। এত আলোকোজ্জ্বল সাজে নগরীকে আগে কখনো দেখা যায়নি। অলিগলিজুড়ে উৎসবের আমেজ সর্বত্র।

সম্মেলনের কাউন্সিলরসহ তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীরা কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। বাড়তি মানুষের চাপে নগরীর হোটেল রেস্ট হাউসগুলোতে ঠাঁই নেই। সম্মেলনে কাউন্সিলর ও বিদেশি অতিথিসহ ভিআইপিরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্যও ইতিমধ্যে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি রুট চিহ্নিত করে তাতে সাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সকাল থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণি, ফার্মগেট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর বিকল্প হিসেবে তেজগাঁও, মগবাজার, কাকরাইল হয়ে জিরো পয়েন্ট সড়কটি উন্মুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে। 

জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী সেজেছে বর্ণিল সাজে। ইতিমধ্যেই রং- বেরঙের বাতি ও আলোকসজ্জার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল ছবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার এবং তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো রাজধানী। সম্মেলনকে ঘিরে কয়েকদিন আগেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। সেখান থেকে সম্মেলনের যাবতীয় কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।

সরকারি দলের ত্রিবার্ষিক এই সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। তাই দেশজুড়ে এই সম্মেলন উপলক্ষে উৎসবের আমেজ। আজ ও আগামীকাল দুদিনের এই সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ১০টি উপ-কমিটির প্রস্তুতি কার্যক্রম আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। দলের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন সফল করতে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে কমিটিগুলো। প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুদিনের খাবার, শৃঙ্খলা, অবস্থান, সম্মেলনস্থলে প্রবেশ ও বহির্গমন, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপকমিটিগুলো কাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর