পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছেন সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির আঘাতে আহত কলেজছাত্রী খাদিজা। তবে তিনি মাঝে মাঝে ভুলে যাচ্ছেন। গতকাল সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তার বাবা মাসুক মিয়া এ তথ্য জানান। মাসুক মিয়া বলেন, ‘সকালে খাদিজাকে বিছানা থেকে তুলে বসানো হয়েছে। এ ছাড়া তাকে হুইল চেয়ারে করে ১০ মিনিট ঘোরানো হয়েছে। পরে পুডিং, পানি ও কমলা লেবুর জুস খেতে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন খাদিজার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। ডাকলে সাড়া দিচ্ছে। মাঝে মাঝে আমাদের চিনতে পারলেও আবার ভুলে যাচ্ছে।’ হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, খাদিজার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। তাকে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। ডাক দিলে সাড়া দিচ্ছে। তবে তার শরীরের বাম পাশ এখনো কাজ করছে না। ৩ অক্টোবর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে সরকারি এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরদিন স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এর পরই সেখানে খাদিজাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।