শিরোনাম
সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ইবিতে বাসের ড্রাইভার-হেলপারকে পেটাল গাঞ্জা গ্রুপ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাসের ড্রাইভার ও হেলপারকে পিটিয়েছে গাঞ্জা গ্রুপের সদস্যরা। এতে তারা উভয়ই গুরুতর আহত হন। গতকাল বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা, মদ, হেরোইনসহ সব ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন ও সরবরাহকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ক্যাম্পাসে গাঞ্জা গ্রুপ নামে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের আহত ড্রাইভার মিলন জানান, রবিবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বহনকারী মিঠুন পরিবহন (কুষ্টিয়া ব-০২০০০৫) নামের একটি বাস কুষ্টিয়া পেয়েরাতলা থেকে ক্যাম্পাসে আসছিল। পেয়েরাতলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র (২০০৯-১০) তরঙ্গ তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে বাসে ওঠে। এ সময় বাসের হেলপার রনি ছাত্রীদের বাস থেকে তাকে নেমে যেতে বলেন। এতে তরঙ্গ হেলপারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে ক্যাম্পাসে গিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার কথা বলে বাস থেকে নেমে যায়। বাসটি বেলা ২টার দিকে ক্যাম্পাসে পৌঁছালে গাঞ্জা গ্রুপের সদস্যরা তরঙ্গের নির্দেশে বাস থামিয়ে ড্রাইভার মিলন ও হেলপার রনিকে টেনে বাস থেকে নামায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাঞ্জা গ্রুপের সদস্য তরঙ্গ এবং ক্যাম্পাসে মাদকদ্রব্য সরবরাহকারী ও বহিরাগত ক্যাডার লামনের নির্দেশে গাঞ্জা গ্রুপের সদস্য আজম (হিসাববিজ্ঞান, শিক্ষাবর্ষ ২০০৯-১০), জ্যাকি (কম্পিউটার, ২০০৮-০৯), যোবায়ের আল মাহমুদ (আরবি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ), তৌফিকুর রহমান তুষার (ইতিহাস ২০১৩-১৪)সহ কয়েকজন কিল-ঘুষি মেরে তাদের রক্তাক্ত জখম করে। পরে অন্য বাসের ড্রাইভার ও শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিহ্নিত হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিএনসিসি ক্যাডেটকে পিটিয়ে আহত করে এই গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে তারা আরও অধিকভাবে বেপরোয়া হওয়ার সাহস পায়।

সর্বশেষ খবর