শিরোনাম
বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের দুই নেতা নিহত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই জামায়াত-শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। তারা হলেন জামায়াত নেতা জহুরুল ইসলাম টিটোন ও ছাত্রশিবির নেতা ডা. তারিক হাসান সজীব। বন্দুকযুদ্ধকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন বলে পুলিশ দাবি করেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি অস্ত্র, পাঁচটি বোমা ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জহুরুল ইসলাম কালীগঞ্জ আসাদুজ্জামান হোসনিন কেয়াবাগান আদর্শ কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌর জামায়াতের আমিরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের পানি উন্নয়নপাড়া এলাকার শমসের মোল্লার ছেলে। ওই কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম জানান, প্রায় চার মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন জহুরুল। তারা শুনেছেন, পুলিশ পরিচয়ে কারা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে, নিহত চিকিৎসক সজীব ঝিনাইদহ ব্যাপারিপাড়ার মৃত খন্দকার আবদুল লতিফের ছেলে। তিনি জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা আমির লুত্ফর রহমানের মেয়েজামাই। তার গ্রামের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুরে। সজীবের বাবা মুক্তিযোদ্ধা। তবে সজীবের মা মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো দল করত না। সে এমবিবিএস ডাক্তার। ঈদের পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর বিকালে শহরের বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ব্যাপারে ১৪ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থানায় জিডি করা হয়েছিল।’ ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) ভোররাতে বাইপাস সড়ক দিয়ে কালীগঞ্জ থেকে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাস টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় পুলিশের একটি টহল দল তাদের থামতে সিগন্যাল দেয়। সন্ত্রাসীরা এ সময় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে তিনটি হাত বোমা ছুড়ে মারে ও গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে সাত-আট মিনিট গোলাগুলি হয়। সে সময় অন্য সন্ত্রাসীরা দুটি মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, দুটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি বোমা, দুটি চাপাতি ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নাসিম, আলমগীর ও বুলবুল আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করার পর বিভিন্ন থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি নিহত জহুরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন থানায় সাতটি ও সজীবের নামে একটি মামলা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর