শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
‘ধর্ষক’ সাইফুল রিমান্ডে

সংক্রমণের শঙ্কায় দিনাজপুরের সেই শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পাশবিক নির্যাতনের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটির প্রজনন অঙ্গে দেখা দিয়েছে সংক্রমণের শঙ্কা। এজন্য এখনই শিশুটির কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার করছেন না ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকি ৎসকরা। শিশুটির চিকি ৎসায় বুধবার বিকালে ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। গতকাল সকালে বোর্ডের সদস্যরা শিশুটিকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। এ সময় তারা শিশুটিকে উচ্চ ক্ষমতার ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে সরকারিভাবে শিশুটির সব ধরনের চিকি ৎসা-ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। এদিকে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার ধর্ষক সাইফুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. অধ্যাপক আশরাফ উল হক কাজল জানান, শিশুটির প্রজনন অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত। সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। যদি সংক্রমণ রক্তে ছড়ায়, তাহলে বিষয়টি ভয়াবহ হবে। তার এখন পুষ্টির অভাব রয়েছে। তাই শিশুটিকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তার প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপচার করতে আরও দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গিমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ খেত থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে সোমবার রাতে ছয় দিন পর একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় শিশুটিকে উন্নত চিকি ৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্য আসামি পলাতক। দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সাইফুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পার্বতীপুর মডেল থানার এসআই স্বপন কুমার চৌধুরী রিমান্ডের আবেদন করলে দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কুমার রায় তা মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ খবর