বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভ্যাট কমানোর দাবি

দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন, দুর্ভোগ

ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের ডাকে গতকাল দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। রাজধানীর রায়সাহেব বাজার থেকে তোলা ছবি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

মূল্য সংযোজন কর—মূসক বা ভ্যাট কমানোর দাবিতে গতকাল রাজধানীতে পূর্ব-ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি আংশিক পালন করেছেন ঢাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। গত ৩০ অক্টোবর ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের ডাকা গতকালের এই ধর্মঘট কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। প্যাকেজ ভ্যাট বহাল ও মাঠপর্যায়ে রাজস্ব  কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই সময়ে দাবি না মানলে লাগাতার ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে পুরান ঢাকার চকবাজারসহ মহানগরীর অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধর্মঘট পালন করেছে। যদিও আন্দোলন ব্যবসায়ীদের কাজ না। ব্যবসা করাই প্রধান কাজ। একটি চক্র ভুল পরামর্শ দিয়ে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের মুখমুখি করেছে। ভ্যাট আদায়ের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। তবে আমি আশা করি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের যৌক্তিক দাবির কথা জানবেন।

এদিকে গতকাল সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘটে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সব মার্কেট ও দোকান বন্ধ দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে দোকানে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অনেককে। তবে নগরীতে ওষুধের দোকানগুলো খোলা দেখা গেছে। পুরান ঢাকায় বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে ব্যবসায়িক বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। মিছিলও করেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে দোকান মালিকরা প্যাকেজ ভ্যাট বা বিক্রির ওপর বছরে নির্দিষ্ট অঙ্কের ভ?্যাট এনবিআরকে দিয়ে থাকেন। তবে ২০১২ সালের ‘মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন’-এ তা পরিবর্তন করে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায়ের নিয়ম করা হয়। এ বছরের জুলাই থেকে নতুন পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায়ের কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে অর্থমন্ত্রী তা এক বছর পিছিয়ে দেন। তবে প্যাকেজ ভ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা এখনো প্যাকেজ ভ্যাট বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন।

সর্বশেষ খবর