বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
সৌদিতে গলা কাটা লাশ

লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে শোকের মাতম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

সৌদি আরবের রিয়াদে আবদুুল হাই ও জসিম উদ্দিন নামে দুই বাংলাদেশির গলাকাটা লাশ পাওয়ার খবরে তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ নাগমুদে শোকের মাতম চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণমাধ্যমসহ প্রবাসী স্বজনদের কাছ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের খবর জেনে দুটি পরিবার শোকে কাতর হয়ে পড়েছে। জসিমের স্বজনরা বলছেন, আবদুল হাইকে জসিম হত্যা করেছে। অন্যদিকে জসিমের স্বজনরা গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে জসিমের এক চাচাতো ভাই       বলেন, জসিম মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। জানা গেছে, ১ নভেম্বর বিকালে সৌদি আরবের আল সাহাবিয়া মল এলাকা থেকে আবদুল হাই ও জসিম উদ্দিনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ গ্রামের বড় পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা তারা। নিহত আবদুল হাই আলী আজমের ছেলে ও জসিম একই বাড়ির করিম খলিফার ছেলে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও প্রবাসী স্বজনদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই পরিবারের লোকজনই। আত্মীয়-স্বজনরাও সমবেদনা জানাতে ভিড় করছেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে আবদুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাতম চলছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে মা-বাবাসহ পরিবারের স্বজনরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। আবদুল হাইয়ের স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, বিকাল ৫টার দিকে স্বামীর সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। এর এক ঘণ্টা পর মৃত্যুর সংবাদ পান। তিনি অভিযোগ করেন, সৌদি আরবে জসিম, আবদুল হাই ও চট্টগ্রামের একজন একসঙ্গে ছিলেন। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর চট্টগামের ওই লোক নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় জসিম হঠাৎ ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করতে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে আবদুুল হাইকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে জসিম। জসিমের চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান জানান, অল্প কিছুদিন ধরে জসিম মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিল। এ অবস্থায় সে আবদুলহ হাইকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেছে। জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আবদুল হাই সৌদি ছিলেন। কিন্তু তিনি ভাগ্য বদল করতে পারেননি। এক মাস আগে তিনি বাংলাদেশেও এসেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, পরিবার চাইলে লাশ ফেরত আনাসহ অসহায় পরিবারকে সরকারি সহায়তা করা হবে।

সর্বশেষ খবর