শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

সিটিসেলকে তরঙ্গ বরাদ্দের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রথম বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলকে তরঙ্গ বরাদ্দ দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। কার্যক্রম শুরু করতে সিটিসেলের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। তবে সিটিসেলকে বিটিআরসির পাওনা ১০০ কোটি টাকা ১৯ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে সিটিসেল টাকা পরিশোধ করতে না পারলে আবারও তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি। আদালতে সিটিসেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস শুনানি করেন। বিটিআরসির প্রাপ্য টাকার অঙ্ক নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন?্য আদালত অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি করেছে। তিন সদস্যের ওই কমিটিতে আরও থাকবেন বিটিআরসির কমিশনার (স্পেকট্রাম) ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নিচে নন— এমন একজন কর্মকর্তা। জানা গেছে, সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা বলা হলেও গতকাল বিটিআরসির পক্ষ থেকে আদালতে পাওনা কমিয়ে ৩৯৭ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। সিটিসেলের হিসাবে এই টাকা আরও কম হওয়ার কথা। এ নিয়ে বিটিআরসি ও সিটিসেলের মধ্যকার বিতর্ক নিরসনে কাজ করবে এ কমিটি। এক মাসের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ নিরসন করবে কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষকে মানতে হবে। এর আগে ২০ অক্টোবর পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)। বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত স্থগিত বা পুনরায় তরঙ্গ বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগে আবেদন করে সিটিসেল। ২৫ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সিটিসেলের আবেদন শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আসে। ১৭ আগস্ট এক মাসের শোকজ নোটিস দিয়ে সিটিসেলকে বিটিআরসি চিঠি দেয়। ৪৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব বকেয়া থাকা সিটিসেল গ্রাহকদের প্রথমে ১৬ আগস্ট ও পরে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিকল্প সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। ২৩ আগস্ট সিটিসেলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অর্থাৎ অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সিটিসেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট হাইকোর্ট বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিসের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এ সময়ের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের কার্যক্রমে বাধা দিতে পারবে না বলে আদেশে বলা হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় বিটিআরসি। ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগ বিটিআরসির পাওনা পরিশোধে সিটিসেলকে দুই মাস সময় দেয়। এর মধ্যে প্রথম মাসে তিন ভাগের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় মাসে বাকি টাকা পরিশোধের আদেশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর