শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাজকীয় সংবর্ধনায় ইউপি চেয়ারম্যান, সোনার নৌকা উপহার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

রাজকীয় সংবর্ধনায় ইউপি চেয়ারম্যান, সোনার নৌকা উপহার

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে ঢাকঢোল পিটিয়ে দেওয়া হলো সংবর্ধনা। দেওয়া হলো প্রায় দুই লাখ টাকায় বানানো সোনার নৌকা। শুধু তাই নয়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লোকসমাগম বাড়াতে এলাকার বাজার, দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকালে এ রাজকীয় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তারেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, শিলাইদহ ইউপি থেকে পরপর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিন তারেক। তবে সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এ কারণে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিলাইদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। বেশ কয়েক দিন ধরে চলছিল এ আয়োজনের তোড়জোড়। গতকাল বিকাল ৫টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে শুরু হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সহসভাপতি রবিউল ইসলামসহ অন্য নেতারা। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তারেককে একটি সোনার নৌকা উপহার দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, এই নৌকা বানানো হয়েছে শিলাইদহ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে। জানা যায়, নৌকা বানানোর জন্য ৯টি ওয়ার্ড থেকে ২৫ হাজার করে মোট ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয়। তবে যারা চাঁদা দিয়েছেন তারা ভয়ে মুখ খুলছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জানান, চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তারেকের নির্দেশে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা টাকা ম্যানেজ করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন। এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লোকসমাগম বাড়াতে এলাকার বাজার-ঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। দোকানদারদের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের নির্দেশে তারা দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তারেক বলেন, এলাকার মানুষ খুশি হয়ে তাকে সোনার নৌকা উপহার দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো চাঁদাবাজি হয়নি। কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান খান বলেন, ‘আমিও শুনেছি সোনার নৌকা বানানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর