রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাবি শিক্ষকের আত্মহত্যা

আতিকুরের প্ররোচনার প্রমাণ মিলেছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহকর্মী আতিকুর রহমানের প্ররোচনার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। আকতার জাহানের ফোনকল ও খুদেবার্তা (এসএমএস) যাচাই-বাছাই করে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আল আমীন হোসেন। গতকাল আদালতের  মাধ্যমে আতিকুরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আতিকুরকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে তারা। এ ব্যাপারে আল আমীন হোসেন বলেন, ‘আতিকুরের সঙ্গে জলির অনেক দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। শেষের দিকে তাদের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। একপর্যায়ে এটা দ্বান্দ্বিক রূপ নিলে জলি প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা আতিকুরের কর্মকাণ্ডে প্ররোচনার প্রমাণ পেয়েছি। তিনি চাইলে হয়তো জলিকে আত্মহত্যার পথ থেকে সরিয়ে আনতে পারতেন।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আতিকুরকে আটক করা হয়েছিল। জলির ফোনকল ও খুদেবার্তার তালিকা উদ্ধারের পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে এবং আতিকুরের সঙ্গে কথা বলে এই আত্মহত্যার পেছনে তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। গতকাল এ মামলায় আতিকুরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।’ ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে নিজ কক্ষ থেকে আকতার জাহান জলির (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। সুইসাইড নোটে কাউকে দায়ী না করলেও শারীরিক ও মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করেন। তবে একমাত্র ছেলের উত্তরাধিকার যাতে সাবেক স্বামী না পান, সে জন্য সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ছেলের গলায় ছুরি ধরার অভিযোগ উত্থাপন করেন তিনি। এর পরদিন জলির ভাই কামরুল হাসান বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি করেন।

সর্বশেষ খবর