মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভার বৈঠক

আরও ৬৪ উপজেলায় হচ্ছে ন্যাশনাল সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে এই কর্মসূচির আওতায় নতুন করে পার্বত্য চারটি উপজেলাসহ মোট ৬৪ উপজেলায় বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের  বলেন, ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম ধাপে দেশের আরও ৬৪ উপজেলায় চালু হবে। এর মধ্যে চারটি উপজেলা নেওয়া হবে তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি থেকে। এর মধ্যে রাঙামাটি থেকে যুক্ত করা হবে দুটি উপজেলা। এগুলো সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত উপজেলা। পঞ্চম থেকে সপ্তম পর্যায়ে এ কর্মসূচি সম্প্রসারণের কাজ ২০১৭ সালের মে মাসে শুরু হবে। সচিব জানান, কোন কোন উপজেলায় নতুন করে এ কর্মসূচি চালু হবে—তা এখনো ঠিক হয়নি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত উপজেলাগুলোকেই এই কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত করা হবে।

তিনি জানান, ২০১০ সালের ৬ মার্চ কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বেকার নারী ও পুরুষকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দুই বছরের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতরে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন তারা প্রতিদিন ২০০ টাকা করে পান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রথম পর্যায়ে কুড়িগ্রাম, বরগুনা ও গোপালগঞ্জের ১৯টি উপজেলায় ৫৬ হাজার ৮০১ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৫৬ হাজার ৫৪ জন অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পর্যায়ে দেশের ৩৭টি উপজেলায় ১ লাখ ১১ হাজার ১১৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৮২ জন কাজ পেয়েছেন। এদিকে গতকালের বৈঠকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০১৬-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই সংশোধনের ফলে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প সরকার যখন প্রয়োজন মনে করবে, তখন প্রকল্পটি ওই ব্যাংকের অধীনে নেবে।

সর্বশেষ খবর