বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুই টিম চালায় কিলিং মিশন ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লায় ডাবল মার্ডার

কুমিল্লা প্রতিনিধি

দুই টিম চালায় কিলিং মিশন  ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ দুজনকে গাড়ি থামিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরের একটি টিম ও তিতাসের আরেকটি টিম অংশ নিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে দাউদকান্দি থানায় নিহত মনির হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও সাতজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা করেছেন। গতকাল মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে মনির হোসেনের লোকজন বলেছেন, হামলার নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় গৌরীপুরের টিম। মঙ্গলবার সকালে তিতাসের পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কাছে তারা এই  হামলা চালায়। এ ঘটনার জন্য তারা তিতাস উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল সিকদারকে দায়ী করছেন। তবে তার সঙ্গে দাউদকান্দির এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশ রয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। স্থানীয় সূত্র ও নিহত মনির পরিবারের লোকজন জানান, মঙ্গলবার সকালে একটি মাইক্রোবাস যোগে জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন। তাদের বহন করা গাড়িটি ঢাকা-হোমনা সড়কের গৌরীপুর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছলে থামানো হয়। ওই সময় মনির চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগী গাড়ি থেকে নামার পরপরই তা চারদিকে ঘেরাও করে সন্ত্রাসীরা গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মনির হোসেন ও চালকের সহকারী মহিউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র আরও জানায়, তিতাসে রাজনৈতিক কোন্দল এবং পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের চাঁদা নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সঙ্গে মনির হোসেনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে তিতাস উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল সিকদারের সঙ্গে মনির গ্রুপের একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে তিতাস উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল সিকদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শাহ কামাল আখন্দ বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোন্দল এবং সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ডের চাঁদা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহত মনির হোসেনের বিরুদ্ধে তিতাস ও দাউদকান্দি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ২৭টি মামলা রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর