শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
একনেকে ১২ প্রকল্প অনুমোদন

সড়কের পাশে জলাধার রাখতে গুরুত্ব দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ২৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫৩৩ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক  চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিকে নতুন করে মহাসড়ক নির্মাণ করার সময় সড়কের পাশে জলাধার তৈরি করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার শুরুতে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভায় গত অক্টোবর মাসের মূল্যস্ফীতি এবং গত চার মাসের এডিপি বাস্তবায়ন হার উপস্থাপন করেন। গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৭ ভাগ। গত সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হারের তুলনায় শতকরা শূন্য দশমিক ৪ ভাগ বেশি। সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫৩ ভাগ। গত চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার শতকরা ১৪ ভাগ। গত বছরে একই সময়ে এ হার ছিল শতকরা ১১ ভাগ। টাকার অঙ্কে চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা  বেশি।

পরিকল্পনামন্ত্রী একনেক বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সভার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সুপার করিডর। সড়ক ও রেল  যোগাযোগের পাশাপাশি নৌপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ নদীসমূহের নাব্য বৃদ্ধি করা হবে। তিনি জানান, ২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি সফলভাবে এগিয়ে চলছে। সরকারের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে ২০১৯ সালের মধ্যেই ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছবে। তিনি বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রী নতুন করে মহাসড়ক নির্মাণ করার সময় সড়কের পাশে জলাধার তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হচ্ছে— বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন প্রকল্প-১, (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) প্রকল্প। এ প্রকল্পসমূহের প্রাক্কলিত ব্যয় ৩২০০.০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩২০.০০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২৮৮০.০০ কোটি টাকা। ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়ক উন্নীতকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৮৬.৭৫ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ১৯টি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও ব্যারাক নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৯৭.০০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। জামালপুর-মাদারগঞ্জ মহাসড়কে ৩টি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৭০.০৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহ দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৯৮২.৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১২৫৩.১১ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪৮৬.৭৪ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১২৪২.৫৩ কোটি টাকা।

তিতাস গ্যাসফিল্ডের লোকেশনে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন প্রকল্প। ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৮৬৯.৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৮২৩.৩৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব ৪৬.৩৪ কোটি টাকা। নোয়াখালী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বন্যানিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৩২৪.৯৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। কুমার নদ পুনঃখনন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৩৭.২৬ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। সিএমএইচ, ঢাকা সম্প্রসারণ ও আধুনিককরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প।

সর্বশেষ খবর