মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রতিবেদন

মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে দেশের প্রথম আট লেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (যাত্রবাড়ী-কাঁচপুর) পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বিভাগ এ অভিযান চালিয়ে পাঁচ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে। সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় টানা ছয় ঘণ্টা এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপসচিব মো. মিজানুর রহমান। এ সয়ম উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হাছান ইমাম, মো. রাসেল মৃধা, সোহেল মাহমুদ প্রমুখ। আগের দিন রবিবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সওজ কর্তৃপক্ষ। এর আগে ১১ নভেম্বর শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের আট লেনের চার লেনই অবৈধ দখলে শিরোনামে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছবিসহ সরেজমিন প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেদিনই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় এসে তিন দিনের মধ্যে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন স্থানীয় প্রশাসন ও সওজ কর্তৃপক্ষকে। গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কই নয়, যে কোনো মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলিউল হোসেন বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ আট লেনের মহাসড়কটি ১৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে মহাসড়কের পাশে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করি। এর আগে আমরা মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।’ তিনি জানান, ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মিত এ সড়কটি দেশের প্রথম আট লেনবিশিষ্ট মহাসড়ক। এ সড়কটির একটি লেন অবৈধ দখলকারীরা দখল করে রেখেছিল।

সর্বশেষ খবর