বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা খুন

দুই যুবলীগ নেতাকে খুঁজছে পুলিশ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

রাজাপুরে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক আবদুস সালামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ যুবলীগের দুজনকে খুঁজছে। তারা হলেন- সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য বাচ্চু হাওলাদার ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহ আলম। অভিযোগ রয়েছে, এই দুজনের নেতৃত্বে প্রায় ১০ ব্যক্তি সালাম খানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে নিজ বাড়িতে সালাম খানের মৃত্যু হয়। গতকাল দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে সালাম খানের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রহিম বলেন, সালামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ঢাকা থেকে ভিসেরা রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মানিক রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি’। জানা গেছে, সালাম খানের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আবদুর রহমান খান কিন্ডার গার্টেনে শিক্ষকতা করতেন রাজাপুরের আমতলী গ্রামের মরিয়ম আক্তার মুক্তা। ৩ মাসের বেতন বাকি পড়ায় ওই টাকা মুক্তাকে দেওয়ার জন্য সালাম খান ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী রাজাপুরের আমতলা এলাকায় গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাচ্চু হাওলাদার ও শাহ আলম তার ওপর হামলা চালান। এতে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল মর্গের সামনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করব। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার দাবি করেন তিনি। আবদুস সালাম খান পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি এলাকার বাসিন্দা ও একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

তাকে হত্যার দায়ে রাজপুর থানায় মামলা করেছেন তার ছেলে শামসুল আলম মুরাদ। মামলায় বাচ্চু ও আলমসহ ১০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

রাজাপুর থানার ওসি মুনির-উল গিয়াস বলেন, মামলার পর থেকে আসামিরা পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর