শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউর বৈঠক

তৈরি পোশাকশিল্পে কাজের পরিবেশ উন্নত হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৈরি পোশাকশিল্পে কাজের পরিবেশ উন্নত হয়েছে

ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

তৈরি পোশাকশিল্পে কাজের পরিবেশ আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ঢাকা সফররত এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তবে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পর ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা নিতে গেলে শ্রম পরিবেশের আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তারা। বৈঠকে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় সংসদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির চেয়ারম্যান বার্ন্ড লেঞ্জ। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শ্রম আইন সংশোধন, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব কাজের পরিবেশে সন্তুষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতারা। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘জিএসপি প্লাস’ প্রদানের বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন তারা। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার ইইউ। আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের অর্ধেকের বেশি আসে সেখান থেকে। তারা (ইইউ) বাংলাদেশকে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজারসুবিধা দিয়ে আসছে।’ রানা প্লাজার অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, কর্মবান্ধব পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিনিধিদলটি এরও প্রশংসা করেছে।  বার্ন্ড লেঞ্জ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এলডিসিভুক্ত ৪৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে। এ উন্নয়নে আমরাও খুশি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ভবিষ্যতে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে আরও উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব হবে।’ ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা নিয়ে ইউরোপীয় সংসদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলে এলডিসি সুবিধা আর কার্যকর থাকবে না। তখন বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা প্রদানে সহায়তা করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে ২৭টি কনভেনশন অনুসরণ করার প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে পোশাক খাতের কর্মবান্ধব পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় আরও কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ইউরোপীয় সংসদের চেয়ারম্যান মিস জিন ল্যাম্বার্ট, মিস অ্যাংগেস জনগেরিয়াস, হানু তাকুলু, অ্যাডাম জেনফিল্ড, বলস্লো পিচ এবং ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন পিয়েরে মায়াদু প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর