প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়নে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মারাকাশ জলবায়ু সম্মেলন শেষ হতে যাচ্ছে। আজ মারাকাশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ সম্মেলন শেষ হচ্ছে। এবারের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের শুরুর দিকে মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় প্যারিস চুক্তি কার্যকরের ক্ষেত্রে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি করলেও শেষ পর্যন্ত সবকিছুকে ছাপিয়ে ইতিবাচক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মারাকাশ ঘোষণায় প্যারিস চুক্তি কার্যকরের রূপরেখা প্রণয়ন, ক্ষয়ক্ষতির ক্ষেত্রে ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমের আওতায় দুই বছর মেয়াদি পর্যালোচনা শুরুসহ বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ অ্যাডভান্স স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান বলেন, মারাকাশে শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি বিষয় সুরাহা হওয়ার পথে। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা আলোচনার টেবিলে ইতিবাচক রোল প্লে করছেন। ফলে আশা করা হচ্ছে, বেশকিছু অগ্রগতি নিয়ে মারাকাশ সম্মেলন শেষ হচ্ছে।

এছাড়া ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমের আওতায় পর্যালোচনা আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে মারাকাশ সম্মেলনে। এটি পরবর্তীতে আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হবে। মারাকাশ সম্মেলনে এই দুই ইস্যু মোটা দাগে আলোচনা হচ্ছিল শুরু থেকে। সম্মেলনের প্লানারি সেশনের আগে বিভিন্ন দেশের সর্বশেষ দরকষাকষিতে লিস্ট ডেভলপ কান্ট্রি ফান্ডে (এলডিসি) অর্থায়নের বিষয়ে উন্নত দেশগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটির বিষয়েও সিদ্ধান্ত এসেছে। আশা করা হচ্ছে, উন্নত দেশগুলো ২৫ মিলিয়ন ইউরো এই ফান্ডে অর্থায়ন করবে। এ ছাড়া ২০২০ সাল থেকে সবুজ জলবায়ু তহবিলে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি ছিল— এ ব্যাপারেও একটা রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে কোস্টট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সিএসআরআর জিয়াউল হক মুক্তা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন কার্যকর করা, লস অ্যান্ড ডেমেজ, জলবায়ু উদ্বাস্তু ইস্যু এবং সবুজ জলবায়ু তহবিলে দ্রুত অর্থ ছাড় করার দাবি জানান।