রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

স্থবির তদন্ত কার্যক্রম ক্ষুব্ধ পরিবার

তনু হত্যার আট মাস

কুমিল্লা প্রতিনিধি

স্থবির তদন্ত কার্যক্রম  ক্ষুব্ধ পরিবার

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের আট মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। দীর্ঘ এ সময়ে থানা ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তারা ঘাতকদের শনাক্ত, রহস্য উদঘাটন কিংবা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি আনতে পারেনি। দফায় দফায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও ফলাফল থেকেছে শূন্য। তনুর পরিবারিক সূত্র জানায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের ভিতরের একটি জঙ্গল থেকে গত ২০ মার্চ রাতে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ও জেলা ডিবির পর গত ১ এপ্রিল থেকে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। সিআইডি তনুর জামাকাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে ৩ জনের শুক্রাণু পাওয়ার কথাও গণমাধ্যমকে            জানিয়েছিল এবং তারা নিশ্চিত হয়েছিল ‘হত্যার আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি সঠিক ছিল না’। সূত্র জানায়, আদালতের আদেশে সিআইডি ডিএনএ প্রতিবেদনটি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিকেল বোর্ডকে সরবরাহ করলেও তিন সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড তনুর মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি। এদিকে এ মামলার দুজন তদারক কর্মকর্তা সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান ও শাহরিয়ার রহমানের বদলির পর বর্তমানে মামলাটির তদন্ত তদারকি করছেন সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মোশাররফ হোছাইন। তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, দীর্ঘ আট মাস পার হয়ে গেল, অথচ খুনিদের কেউ এখন পর্যন্ত ধরা পড়ল না।

সর্বশেষ খবর