শিরোনাম
সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ক্যাবল ব্যবসাকে শিল্প ঘোষণার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কেবল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসাকে যুগোপযোগী করতে একে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ক্যাবল অপারেটরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ক্যাবল ব্যবসা জবরদখলে নেওয়ার অপচেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন ক্যাবল ব্য্বসায়ীরা। এজন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কোয়াব সদস্যরা।

শনিবার ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দুটিসহ ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন কোয়াব নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে এক হাজারের বেশি ক্যাবল অপারেটর উপস্থিত ছিলেন। কোয়াব উত্থাপিত দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক খাতটিকে অতিদ্রুত শিল্প ঘোষণা ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ প্রদান করা, সারা দেশের ক্যাবল অপারেটরদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ও জোরপূর্বক ব্যবসা কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, কোয়াবের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিটিভির নতুন লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করা, গ্রাহকদের মাসিক ফি পুনঃনির্ধারণ করা, ক্যাবল ও ফিড অপারেটরদের লাইসেন্স ফি কমানো, কমিউনিটি ক্যাবল চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় একটি কমন ডাকট তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া। কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম আনোয়ার পারভেজ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশে মাত্র ৪-৫টি বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে অ্যানালগ পদ্ধতিতে ক্যাবল ব্যবসা এই ব্যবসায়ীরাই শুরু করেছেন। এই ব্যবসার কাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই দেশের প্রথম স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে এটিএন বাংলা ও পরবর্তীতে প্রায় ৩০টি বাংলা ভাষার স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করেছে। এখন যুগের চাহিদা অনুসারে ক্যাবল ব্যবসাকে ডিজিটাল করতে যে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন তা মেটাতে ব্যাংক ঋণ অপরিহার্য। সে জন্য ক্যাবল ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, বিটিভি কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যেই নতুন নতুন লাইসেন্স ইস্যু করছে। তা ব্যবসার জন্য মোটেও সুখকর নয়। তাই কোয়াবের আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কোনো নতুন লাইসেন্স ইস্যু না করার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ জানান কোয়াব সভাপতি। তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কিছু অপারেটরের অসহযোগিতার কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত প্রশাসকদের উদাসীনতার কারণে গত তিন বছরে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। অচিরেই সব সমস্যা সমাধানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান কোয়াব নেতারা। তাদের দাবি, ঢাকার দুটি এনটিটিএন কোম্পানির আওতায় কয়েকশ ক্যাবল অপারেটর ও কয়েকশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে। কিন্তু এনটিটিএন দুটির প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল না থাকায় গ্রাহক সেবা প্রায়শই বিঘ্ন ঘটছে। তাই দুই সিটি করপোরেশনে কমন ডাকট তৈরির কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর