মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নরসিংদীতে ডিসি কার্যালয় ঘেরাও আওয়ামী লীগের

নরসিংদী প্রতিনিধি

অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘেরাও করা হয়। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ মিছিল করেন। মিছিলে বিক্ষুব্ধরা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করেন। তবে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রশাসক দাবি করেছেন, স্বার্থে আঘাত হানায় কিছু নেতা মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।

বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সের কয়েক শ’ নারী-পুরুষ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ব্যানারে লেখা ছিল দুর্নীতিবাজ জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের অপসারণ চাই। নরসিংদী জেলার নারীরা বঞ্চিত কেন? জবাব চাই। মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে প্রেসক্লাব চত্বর দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়। এ সময় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহবুব হাসান শাহীনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও পুলিশ বাধা দেয়। পরে ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের একটি গোপন প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে যায়। প্রতিবেদনে নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুলসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে; যা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের টানাপড়েনের সৃষ্টি করে। এরই জেরে ২৭ সেপ্টেম্বর দলীয় সভায় জেলা প্রশাসনের কোনো কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ নভেম্বর দুদকের গণশুনানিতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এলআর ফান্ড, সরকারি জমি বরাদ্দ, মায়ের নামে রোকেয়া পদকের নাম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে জেলা প্রশাসক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বলে অভিহিত করেন। এরই ফলে সর্বশেষ গতকাল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার অপসারণ চাইলেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহবুব হাসান শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুমতি না সমাবেশ ও ডিসি অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করছে। এটা সাজানো নাটক ছাড়া কিছু নয়।’                      

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর