মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বর্ডার হাটে বাড়ল পণ্য কেনাকাটা

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

বাংলাদেশ-ভারত সংশোধিত বর্ডার হাট চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করেছে দুই দেশ। সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এটি চূড়ান্ত করা হয়। এর ফলে নতুন চুক্তির মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। হাটে প্রত্যেক ক্রেতা সর্বোচ্চ ২০০ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থের পণ্য কিনতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এর আগের চুক্তির মেয়াদ ছিল তিন বছর এবং তখন প্রত্যেক ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫০ ডলারের পণ্য কিনতে পারতেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার হাট চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে এমওইউ নবায়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ ছাড়া দুটি দেশের পক্ষ থেকেই সীমান্তে হাট স্থাপনের ব্যাপারে নতুন নতুন প্রস্তাব আসছিল। সেগুলো পর্যালোচনা করে কিছু সংশোধনী এনে নতুন এমওইউ চুক্তির খসড়া উপস্থাপন করা হয় গত সপ্তাহে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। সেখানে দুটি দেশই সংশোধিত বর্ডার হাট চুক্তিটি চূড়ান্ত করে। কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ, ফেনী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে চারটি বর্ডার হাট চালু রয়েছে। এ ছাড়া মেঘালয় ও ত্রিপুরা সীমান্তে আরও প্রায় ১৮টি বর্ডার হাট স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। আগের চুক্তি অনুযায়ী বর্ডার হাটে দুই দেশের অধিবাসীরা তৈরি পোশাক, মেলামাইন ক্রোকারিজ, ফলের জুস ও ট্রয়লেট্রিজ জাতীয় শিল্প পণ্য ছাড়াও স্থানীয়ভাবে উত্পন্ন কৃষিজাত পণ্য, তাজা ও শুঁটকি মাছ, ডেইরি বা পোল্ট্রি পণ্য, কাঠ ও বেতের তৈরি পণ্য ও হস্তশিল্প-জাত পণ্য কেনাবেচা করতে পারবেন। নতুন চুক্তিতেও এসব পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ইস্যুকৃত জয়েন্ট কমিউনিকের ৩৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাসবাসরত জনগণের সুবিধার জন্য পাইলট ভিত্তিতে বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। একই বছরের ২৩ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে বর্ডার হাট সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। তবে ২০১০ সালে সইকৃত ওই সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ ছিল তিন বছর, যা ২০১৩ সালে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ওই চুক্তিতে পাইলটভিত্তিতে দুটি বর্ডার হাট স্থাপনের কথা থাকলেও এরপর দুই দেশের সরকারের সম্মতিতে এ পর্যন্ত চারটি বর্ডার হাট স্থাপন হয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরও চারটি হাট এবং ১৪টি হাট স্থাপনের প্রাথমিক কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপরন্তু সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের হাট নিয়ে দুই দেশের সীমান্তবাসীর আগ্রহ বাড়ায় নতুন করে আরও বর্ডার হাট স্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীর সংখ্যা ও বিক্রয়যোগ্য পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রস্তাব এসেছে। এসব কারণে নতুন করে আরেকটি এমওইউ সই করার বিষয়ে সম্মত হয় দুটি দেশ।        

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর