শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বাঁশেই ওদের সকাল বাঁশেই স্বপ্ন

মো. রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বাঁশেই ওদের সকাল বাঁশেই স্বপ্ন

 

 

সকাল শুরু হয় তাদের বাঁশ দিয়ে আর বাঁশেই চলে জীবন যুদ্ধ। এভাবেই প্রায় শতবর্ষ ধরে বংশ পরম্পরায় বাঁশ দিয়ে তৈরি করা বিভিন্ন শৈল্পিক জিনিসপত্র         বিক্রি করে জীবনযাপন করে আসছেন ফিলুমিনা মারদি, শ্যামল মারান্ডী, ফ্রান্সিস মারান্ডি, সালোমি মুরমু, আসুন্তা টুডুসহ এরকম তাদের ৫০ পরিবার। বাঁশ মাধ্যম শিল্পকে আঁকড়ে থাকা এসব সাঁওতাল আদিবাসীরা নিজেদের ‘মাহলি’ বলে পরিচিতি প্রদান করে। দিনাজপুরের শহরতলীর কসবা মিশনের পাশে বিসপ পাড়ায় তাদের বসবাস। ওদের বাঁশেই সকাল, বাঁশেই স্বপ্ন; আর বাঁশেই উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। তারা বাঁশ দিয়ে ধামা, কুলা, হাত পাখা, সেমাই খাঁচা, গাছের টব খাঁচাসহ নানান জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করে। অর্ডার নিয়ে বাঁশের যে কোনো জিনিস তৈরি করেও দিয়ে থাকেন তারা। প্রবীণ ফিলুমুনা মারদী জানান,  ব্রিটিশ সরকারের সময় থেকে বংশ পরম্পরায় বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করেই জীবনযাপন করছেন তারা। এজন্য তাদের মাহলি জাত হিসেবেও ডাকা হয়। প্রায় পঞ্চাশের মতো পরিবার বাস করে এ পাড়ায়। আগে বৈশির ভাগই বাঁশ শিল্পের উপরে নির্ভর করলেও এখন ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। আরেক প্রবীণ শ্যামল মারান্ডি জানান, তিনিও শৈশব থেকে বাঁশের জিনিসপত্র তৈরি করে জীবনযাপন করছেন। তবে আম -লিচুর মওসুমে খাঁচার চাহিদা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় উপার্জন একটু বেশি হয়। ওই সময় দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মতো উপার্জন করা যায়। অন্যান্য সময়ে খরচ বাদে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা উপার্জন করা যায়। তিনি জানান, আমাদের পুঁজি নেই। বাঁশ মাধ্যম ক্ষুদ্র শিল্পটিতে সরকারি বা বেসরকারি  কোনো সহযোগিতা পেলে এ শিল্পের বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের জীবন-মান আরও উন্নত হতো।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর