শিরোনাম
বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

সাড়ে ৯ লাখ নতুন গ্রাহক পাবে বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুতের তিনটিসহ ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। গতকাল শেরেবাংলানগরের পরিকল্পনা কমিশনে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বিদ্যুতের এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের আটটি বিভাগের সাড়ে ৯ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। এর একটিতে রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের সাড়ে ৪ লাখ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ৫ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। পরিকল্পনামন্ত্রী একনেক সভা শেষে বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে দেশের শতকরা ৭৮ ভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৯ সালের মধ্যেই সরকার দেশের শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সক্ষম হবে। ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য রক্ষায় ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, যেসব এলাকায় পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ রয়েছে সেসব এলাকায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের দামের ক্ষেত্রে অসংগতি দূর করতে হবে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে স্টিলের দাম কমে যাওয়ায় যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ লাইন তৈরি করা দরকার, সেখানে তা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে— পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৭০৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা; বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা; বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতাবর্ধন, পুনর্বাসন ও নিবিড়করণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা; বিসিক শিল্পপার্ক, সিরাজগঞ্জ প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা; গ্যাস ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটি এক্সপাশন—আশুগঞ্জ টু বাখরাবাদ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা; মুরাদপুর ২ নম্বর গেট ও জিইসি জংশন ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা; ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে ২০টি পরিত্যক্ত বাড়িতে ৩৯৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা; টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা আঞ্চলিক মহাসড়কের শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু থেকে পাঁচদোনা পর্যন্ত অংশ জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা; কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদী বন্যানিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

 

সর্বশেষ খবর