বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

কৃষকদের আগ্রহে ব্রি-৩৪

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কৃষকদের আগ্রহে ব্রি-৩৪

চলতি আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জের মাঠের পর মাঠ উফশী ব্রি-৩৪ (জিরাশাল) জাতের ধানের চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় ওই ধান বেশি চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণ করায় সুগন্ধী চিকন জাতের ওই ধানটি এখন নবাবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ জমিতে শোভা পাচ্ছে। ধানটি এখনো কাটার সময় হয়নি। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ওই ধান কাটার ধুম পড়বে বলে কৃষকরা জানান। সুগন্ধী এই চিকন ধানটি রপ্তানির যোগ্য হওয়ায় দামও বেশি পায় কৃষক। এ ছাড়া এ ধান চাষে তেমন সার লাগে না; ফলে কৃষকরা ঝুঁকছে বলে কৃষি অফিস জানায়। ধানটির ফলন অন্য ধানের তুলনায় কম হলেও এর চাহিদা যেমন রয়েছে তেমনি দরও বেশ ভালো বলে কৃষকরা জানান। প্রতি বিঘা জমিতে ব্রি-৩৪ (জিরাশাল) ধানের ফলন হয়ে থাকে ১০ থেকে ১৪ মণ। প্রতি বস্তা (২ মণের এক বস্তা) ধানের দাম সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যায় প্রায় ৩০ হাজার টাকার। নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের কৃষক মাহবুবুর রহমান জানান, তিনি এবারে ১৪ বিঘা জমিতে ব্রি-৩৪ ধান চাষ করেছেন। ভাদুরিয়া ইউনিয়নের নিশ্বা গ্রামের মনিরুজ্জামান জানান, তিনি গতবার ব্রি-৩৪ ধান চাষ করে ভালো দাম পেয়েছিলেন তাই এবারেও ওই ধান চাষ করেছেন। তার মতো অনেক কৃষকই এবারে ওই ধান চাষ করেছেন। হঠাৎ ব্রি-৩৪ জাতের ধান চাষ বাড়ার বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুরেজা মো. আসাদুজ্জামান জানালেন, চলতি আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জে ৯ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে ব্রি-৩৪ ধান চাষ হয়েছে। গত বছরের আমন মৌসুমে ব্রি-৩৪ ধানের চাষাবাদ হয়েছিল ৩৯%। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ৪৫%। বাজার দর ভালো পাওয়া, জমিতে সার কম লাগা এবং রপ্তানিযোগ্য হওয়ায় কৃষকদের মাঝে ওই ধান চাষের আগ্রহ বাড়ছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর