বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গ্যাস লাইট কারখানায় আগুন, দগ্ধ ৩১ শ্রমিক

সাভার প্রতিনিধি

গ্যাস লাইট কারখানায় আগুন, দগ্ধ ৩১ শ্রমিক

আশুলিয়ায় গতকাল কারখানায় দাউ দাউ আগুন। দগ্ধ এক শ্রমিকের স্বজনের আহাজারি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আশুলিয়ার জিরাবোয় একটি গ্যাস লাইট তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানা থেকে তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে ৩১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বিকাল ৪টার দিকে কালার ম্যাচ বিডি লিমিটেড নামক কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর  পেয়ে আশুলিয়া, সাভার ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ সোনিয়া, আফরোজা, হাফিজা, সিমু, হালিমা, জলি, মুক্তি, নিয়ারা, আঁখি, নাজমা, হালিমা, রাখি, রিনা, ফাতেমা, সিমু, আছিয়া, রত্না, কুলসুম, রহিমা, আকলিমা, সখিনা, ফারজানা, শরিফা, লাভলী, জান্নাত, ছনিয়া, আফিয়ারসহ ৩১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক আছিয়া আক্তার জানান, বিকাল ৪টার দিকে হঠাৎ করে কারখানার ভিতরে ধোঁয়া দেখতে পায় তারা। অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে কারখানা থেকে দ্রুত বের হতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হন ৩১ শ্রমিক। পরে খবর পেয়ে আশুলিয়ার ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে কারখানাটিতে গ্যাসের লাইট ও দিয়াশলাই তৈরির একাধিক কেমিক্যাল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কাস সলিডারিটি সাধারণ সম্পাদক মো, ইব্রাহিম বলেন, মালিকরা সব সময় শ্রমিকদের ঝুঁকির মধ্যে রাখে। অগ্নিদগ্ধদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না হলে আমরা আন্দোলনে যাব। ফায়ার স্টেশনের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদুর রহমান আকন্দ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ধামরাই, সাভার, উত্তরা, মিরপুর হেড অফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে দিয়াশলাই তৈরির কেমিক্যাল থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে।

দগ্ধ ২০ নারী শ্রমিক ঢাকা মেডিকেলে : সাভারের আশুলিয়ায় কালার ম্যাচ বিডি লিমিটেড নামে একটি কারখানায় লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ২০ জন নারী শ্রমিক ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ৬টি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের নিয়ে আসা হয়। ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চিকিৎসাধীন ২০ জনের কাউকেই আশঙ্কামুক্ত বলতে পারছি না। তবে এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর, তাদের শরীরের ২০  থেকে ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’

 এদের আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।’ গতকাল বিকাল ৪টার পর কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৬টা ১৫ মিনিটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করে।

সর্বশেষ খবর